Bald counts as sexual harassment: অফিসে কাউকে টেকো বলাও যৌন নিগ্রহের সমতুল্য অপরাধ

Bald counts as sexual harassment: অফিসে কাউকে টেকো বলাও যৌন নিগ্রহের সমতুল্য অপরাধ

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টেকো, মোটু— এসব সম্বোধন গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে বাঙালির। অফিসে হামেশাই চলে পুরুষ বডিশেমিং। এটা যে নিন্দনীয়, কেউ ভাবে না। উপরতলাও খুব একটা পাত্তা দেয় না। কিন্তু এবার এই সংস্কৃতি ভাঙতে চলেছে। ব্রিটিশ আদালতের একটি রায়ে সম্প্রতি বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে কোনও মহিলার স্তনের আকার নিয়ে আলোচনা যেমন যৌন নিগ্রহের সমতুল্য এবং শাস্তিযোগ্য, তেমনই পুরুষের টাক নিয়ে চর্চাও সমগোত্রের অপরাধ। এমনই মামলা দায়ের করেন টনি ফিন নামে এক ব্যক্তি।

পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের একটি সংস্থায় দীর্ঘ ২৪ বছর তিনি ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন টনি। ২০২১ সালের মে মাসে আচমকাই ছাঁটাই করা হয় তাঁকে। টনির দাবি, ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। তর্কাতর্কির সময় একাধিক বার তাঁকে টেকো বলে অপমান করেন কারখানার ম্যানেজার জেমি কিং। বিশেষ ট্রাইবুন্যাল রায় দিতে গিয়ে বলেছে, টাক পড়ার সমস্যায় মূলত ভোগেন পুরুষরাই। তাই কারও টাক নিয়ে কটূক্তি করার মধ্যে মিশে আছে বডিশেমিং এবং লিঙ্গপক্ষপাত।

বিচারকদের সংযোজন, একাধিক মামলায় দেখা গিয়েছে, মহিলা সহকর্মীর স্তনের আকার নিয়ে কথা বলায় যৌন হেনস্থার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অনেকে। টাকের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্যেও একইরকম সম্মানহানি ঘটেছে টনির। এই মামলায় সাজা ঘোষণা হবে কিছু দিন পরে। ব্রিটেনের একজন নিয়োগ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেছেন, একজন পুরুষকে টেকো বলাকে এখন যৌন হয়রানি বলা যেতে পারে।

ট্রাইব্যুনালের তিনজন সদস্য যারা এই রায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং চুল পড়ার বিষয়ে তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন যে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে চুল পড়া বেশি দেখা যায়। টেকো আসলে যৌনগন্ধী অপরাধের সমান। ট্রাইব্যুনাল ১৯৯৫ সালের একটি মামলার ওপর ভিত্তি করে একজন পুরুষকে টেকো বলাকে নারীর স্তনের আকার নিয়ে মন্তব্য করার সঙ্গে তুলনা করেছে।

(Feed Source: zeenews.com)