Karnataka Election 2023: মোদী নির্ভরতা-লিঙ্গায়েতদের ক্ষোভ! জেনে নিন কর্ণাটকে বিজেপির হারের পেছনে ৫ ফ্যাক্টর

Karnataka Election 2023: মোদী নির্ভরতা-লিঙ্গায়েতদের ক্ষোভ! জেনে নিন কর্ণাটকে বিজেপির হারের পেছনে ৫ ফ্যাক্টর

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কর্নাটকে ক্ষমতা হারাল বিজেপি। এখনওপর্যন্ত ২২৪ আসেনর মধ্যে ১৩৫ আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি জিতেছে ৬৫ আসনে।  সংখ্যালঘু কোটা তুলে দেওয়া, হিজাব বিতর্ক, টিপু সুলতানের জন্মদিন বিতর্ক থেকে শুরু করে মেরুকরণের কোনও প্রসেক্রিপশনই কাজে এল না। বরং কংগ্রেসের মরা গাংয়ে জোয়ার আনল রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা। মানুষের রুটিরুটির ইস্যু তুলে ধরে বাজি জিতছে কংগ্রেস। কিন্তু কেন এমন পরাজয় বাসবরাজ বোম্বাই সরকারের? দলীয় সূত্রে খবর, ভোট গ্রহণের আগেই হেরে বসেছিল বিজেপি। রাজ্নৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতো কর্নাটকে বিজেপির হারের পেছনে কাজ করেছে এই ৫ ফ্যাক্টর।

মোদী নির্ভরতা

দেশের যে রাজ্যেই ভোট হোক না কেন, মোদী-শাহই শেষ কথা। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনেও রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে কার্পেট বম্বিং করেছিলেন দিল্লির বিজেপি নেতারা। কোনও ফল হয়নি। কর্নাটকেও প্রচারে সব আলো কেড়েছিলেন মোদী। তাঁর উপরেই বেশি নির্ভর করেছিল প্রদেশ বিজেপি। রাজ্যের নেতারা সেখানে খুব বেশি কল্কে পাননি। বরং মোদী ক্যারিশমা ও কেন্দ্রের প্রকল্পগুলোর কথাই বেশি করে প্রচার করা হয়েছে। রাজ্যের ইস্যু চলে গিয়েছে ব্যাকফুটে। আম ভোটারদের দেওয়াললিখন পড়তে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি।

লিঙ্গায়েতদের ক্ষোভ

রাজ্যে দলের মুখ হিসেবে সেভাবে কাউকে তুলে ধরতে পারেনি বিজেপি। রাজ্যে সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁকে খুব বেশি আমল দেওয়া হয়নি বলে দলের অন্দরের খবর। বরং বোম্বাইকেই তুলে ধরা হয়। শেষপর্যন্ত  মোদীর সঙ্গে ইয়েদুরাপ্পাকে প্রচারে আনা হলেও দল তাঁকে নিয়ে সংশয়ে ছিল। কারণ ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে দিয়ে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়কে খোপিয়েছিল বিজেপি। পরিবর্তে বোম্মাইকে আনা হলেও সেই ক্ষোভ পূরণ হয়নি। অন্যদিকে, কংগ্রেস ওবিসি, দলিত ও মুসলিমদের ভোট ঘরে তুলেছে।

প্রার্থী বাছাই

পাশাপাশি প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রেও বহু কাটছাঁট করেছে বিজেপি। বহু পুরনো প্রার্থী এমনকি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ সেত্তার, দলের বরিষ্ঠ নেতা ঈশ্বরাপ্পা ও লক্ষ্মণ সেবাদিকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এর ফল ভালো হয়নি। বহু জেতা বিধায়ককে বসিয়ে আনা হয় ৭২ নতুন মুখ। সেত্তার ও সাভাদি কংগ্রেসে চলে যান।

বার্তায় গোলমাল

উন্নয়নের বার্তা নিয়ে প্রচার শুরু করলেও তা শেষপর্যন্ত গিয়ে দাঁড়ায় হিন্দুত্বে। বিজেপি ধুয়ো তুলেছিল বজরং দলকে নিষিদ্ধ করে দিতে পারে বিজেপি। মুসলিম তোষণকে তুলে ধরে হিন্দুত্বের পালে হাওয়া লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বিদেপি। মানুষ তা নেয়নি। কংগ্রেস হাওয়া তুলেছিল বিজেপি হল ৪০ শতাংশ কমিশনের সরকার। বিজেপি এর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করতে পারেনি।

ধর্মীয় মেরুকরণ

হিলালা, হিজাব, আজান, মুসলিম সংরক্ষণের মতো মেরুকরণের ইস্যু তুলেছিল বিজেপি। মানুষ তা নেয়নি। দেশের অন্যান্য অংশ এইসব ইস্যু ভালো কাজ দিলেও কর্নাটকে তা একেবারে ব্যর্থ। বরং কংগ্রেস দুর্নীতির ইস্যু তুলেছে, সেই ইস্যু মানুষ নিয়েছে। কংগ্রেস উন্নয়ণের কথা বলেছে। মানুষ তা নিয়েছে।

(Feed Source: zeenews.com)