জিতলেই প্লে অফে গুজরাত, হায়দরাবাদের কাছে আজ মরন-বাঁচন ম্যাচ

জিতলেই প্লে অফে গুজরাত, হায়দরাবাদের কাছে আজ মরন-বাঁচন ম্যাচ

আমদাবাদ: সব কিছু হিসেব মতো চললে সোমবার রাতে এক দলের প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। অন্য দল টানা তৃতীয় মরসুমের জন্য প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাবে।

সোমবার আমদাবাদে মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (GT vs SRH)। গুজরাত এবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। সোমবার জিতলেই চলতি আইপিএলে প্রথম দল হিসাবে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলবে গুজরাত। হারলেও শেষ ম্যাচে আরও একটি সুযোগ পাবেন হার্দিক পাণ্ড্যরা।

হায়দরাবাদের সামনে অবশ্য সব ম্যাচ জেতা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। ১১ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট এইডেন মারক্রামদের। প্লে অফে ওঠার সামান্যতম সম্ভাবনাও বাঁচিয়ে রাখতে বাকি তিন ম্যাচ জিততেই হবে হায়দরাবাদকে। সোমবার হারলেই ২ ম্যাচ বাকি থাকতে প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাবে নিজামের শহর।

তবে ম্যাচ জিতলেও হায়দরাবাদকে নির্ভর করে থাকতে হবে অন্য দলের ফলাফলের ওপর। শেষ চার ম্যাচের মধ্যে দুটিতে হেরেছেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। তবু পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই থেকে গিয়েছেন। ওপেনিংয়ে শুভমন গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা জুটি দলকে ভরসা দিচ্ছেন। মিডল অর্ডারও ছন্দে। ফিনিশাররা ম্যাচ জেতাচ্ছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে সূর্যকুমার যাদবের তাণ্ডবের পর হারতে হলেও রশিদ খান যে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন, এখনও তা নিয়ে চর্চা চলছে। বোলাররাও ছন্দে। পার্পল ক্যাপ রশিদের দখলে। প্রথম পাঁচের মধ্যে রয়েছেন মহম্মদ শামিও।

তবে টিমগেম খেলে চমক দেওয়ার অপেক্ষায় হায়দরাবাদ। চলতি মরসুমে এটাই গুজরাত টাইটান্সের সঙ্গে মারক্রাম-ভুবনেশ্বর কুমারদের প্রথম ম্যাচ। তবে গুজরাত এই ম্যাচে পাবে না বাঁহাতি পেসার জশ লিটলকে। জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন বলে তিনি এই ম্যাচে নেই। হায়দরাবাদ এই ম্যাচে সব ক্রিকেটারকেই পাচ্ছে।
এই ম্যাচেও শুভমনের পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে ফিল্ডিংয়ের সময় মোহিত শর্মাকে নামাতে পারে গুজরাত। তবে হার্দিকদের কিছুটা চিন্তায় রাখবে ডেভিড মিলারের ফর্ম। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা রান পাচ্ছেন। তবে যেরকম বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন, যে কারণে ক্রিকেটবিশ্বে তাঁর নামই হয়ে গিয়েছে কিলার মিলার, সেভাবে দাগ কাটতে পারছেন না। চলতি আইপিএলে ১০ ইনিংসে কোনও হাফসেঞ্চুরি করেননি। শেষবার আইপিএলে অন্তত আট ইনিংস খেলেও হাফসেঞ্চুরি পাননি, মিলারের এরকম মরসুম কেটেছিল ২০১৬ সালে।

হায়দরাবাদকে চিন্তায় রাখবে মিডল অর্ডারের স্ট্রাইক রেট। অন্তত ১০০০ রান করেছে, চলতি মরসুমে এরকম মিডল অর্ডারের (৩-৭ নম্বর ব্যাটার) মধ্যে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেট হায়দরাবাদের। মাত্র ১৩৪.৪৫। সবচেয়ে কম হাফসেঞ্চুরি (৩) ও সবচেয়ে কম ছক্কাও (৪৯টি) মেরেছেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা।

(Feed Source: abplive.com)