কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কালবৈশাখীর জেরে ব্যাহত হল রেল ও উড়ান পরিষেবা। হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার রেল পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। রেললাইনে গাছ পড়ে যাওয়ায় পরিষেবা ব্যাহত চক্ররেলেও। যাত্রীদের দাবি, হাওড়া এবং শিয়ালদা ডিভিশনের একাধিক লাইনে ট্রেন দেরিতে চলছে। কোথাও ২০ মিনিট দেরিতে ট্রেন ঢুকেছে। কোথাও আবার ৪০ মিনিট লেটে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা। সেইসঙ্গে কলকাতায় উড়ান পরিষেবাও ধাক্কা খেয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ঝড় এবং প্রবল বৃষ্টির জেরে ছ’টি বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। আবার ১২ টি বিমান ছাড়তে দেরি হয়েছে বলে কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর।
সোমবার দিনভর প্রবল গরমের পর বিকেলে বৃষ্টি নামে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বিকেল পাঁচটা ৪১ মিনিটে একটি ঝড় হয়। সেটির স্থায়িত্ব তিন মিনিট ছিল। ওই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৪ কিলোমিটার। দক্ষিণবঙ্গের অন্যত্রও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হয়। সেই পরিস্থিতিতে একাধিক লাইনে বিঘ্নিত হয় লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সব জায়গায় এখনও পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। কয়েকটি লাইনে প্রবল ভিড় হচ্ছে ট্রেনে। বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় থিকথিক করছে।
কোথায় কোথয় লোকাল ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে?
১) শ্যামনগর এবং কাঁকিনাড়ার মধ্যে আপ ও ডাউন লাইনে গাছ পড়ে যায়। তার জেরে শ্যামনগর এবং নৈহাটির মধ্যে ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বাকি দুটি লাইন দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ট্রেন চলাচল করেছে।
২) শিয়ালদার দক্ষিণ শাখায় পরিষেবা ব্যাহত হয়। জয়নগর মজিলপুর স্টেশনের কাছে ওভারহেড তারে গাছের ডালপালা পড়ে গিয়ে বারুইপুর-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল।
৩) কালবৈশাখীর জেরে চক্ররেলের পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়। বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিট নাগাদ রেললাইনের উপর গাছ পড়ে গিয়েছিল।
৪) কালবৈশাখীতে হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনেও পরিষেবা ব্যাহত হয়। চন্দননগরে আপ মেন লাইনে ওভারহেড তারে গাছের ডালপালা পড়ে যায়। কোন্নগরে আবার ওভারহেড তারে ফ্লেক্স এসে পড়ে। হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় পরিষেবা ব্যাহত হয়।
(Feed Source: hindustantimes.com)