শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় বড় বিবৃতি সুপ্রিম কোর্টে

শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় বড় বিবৃতি সুপ্রিম কোর্টে

নয়াদিল্লি :  শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যুর মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের  রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই রায়কে রায় চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার।

গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত। তারপরে সম্প্রতি মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। ফের তাঁকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে হাইকোর্টেই আবেদন করতে হবে তাঁকে।

এদিকে, শুভেন্দু অধিকারী এদিন জানান, “মৃত কনস্টেবল আমার দেহরক্ষী ছিলেন না। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে। উনি কনভয়ের ডিউটিতে থাকতেন।”

দেহরক্ষী শুভ্রব্রত চক্রবর্তী মৃত্যুর ঘটনায় ২০২১ সালে তাঁকে ডেকে পাঠায় সিআইডি। শুভেন্দু  নিরাপত্তারক্ষী  শুভব্রত  চক্রবর্তীর মৃত্যুর মামলা কাঁথিতে দায়ের হয় সে বছরই। সিআইডি তদন্ত  শুরু করে। কীভাবে শুভব্রত  মৃত্যু, নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  শুভেন্দু  অধিকারিকে তলব করছে সিআইডি, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সিআইডি আধিকারিকরা ২০২১ সালের জুলাই মাসে দুবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে কথাবার্তা সেরে আসেন সিআইডি কর্তারা। শুভেন্দুবাবুর দেহরক্ষী মৃত্যু হয় ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর। শুভব্রত  ১৩ তারিখে গুলিবিদ্ধ হন | কলকাতা  বেসরকারি হাসপাতালে  আনা হলে ১৪ তারিখে মৃত্যু হয় তাঁর| প্রথমে কাঁথিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা তাঁকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সময় মতো অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বাঁচানো যায়নি শুভেন্দুর দেহরক্ষী শুভব্রতকে।

তাঁর মৃত্যুর তিন বছর পর ২০২১ এর ৭ জুলাই এফআইআর দায়ের করেন শুভব্রত চক্রবর্তীর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। ২০২১ সালের শুভেন্দু অধিকারীর মেদিনীপুরের বাড়ি শান্তিকুঞ্জে যান তদন্তকারীরা। কাঁথির অধিকারী পাড়ায় গিয়ে যে বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী থাকতেন, সেই বাড়িতেই তদন্তের কাজে যায় সিআইডি দল। চারজনের এই প্রতিনিধিদল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে সুত্রের খবর। এছাড়াও  জেলা পুলিশ লাইনে শুভব্রত চক্রবর্তীর সঙ্গে তৎকালীন যাঁরা কাজ করতেন সেইসব নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির আধিকারিকরা।  সেই সময়েই দু’জন নিরাপত্তারক্ষীদেরও সি আই ডি সঙ্গে নিয়ে যায় শান্তিকুঞ্জে।

(Feed Source: news18.com)