উপাচার্য অপসারণের পরে অকাল হলি KNU’তে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ উপাচার্য

উপাচার্য অপসারণের পরে অকাল হলি KNU’তে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ উপাচার্য

আসানসোল: আন্দোলনের ৬৪ দিন পরে অকাল হোলিতে মেতে উঠলেন আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা। উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে চলছিল আন্দোলন। এমন অবস্থার মধ্যে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস ই-মেইল মারফত পদ থেকে সরিয়ে দেন উপাচার্যকে। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয় দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের উচ্ছাস। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মিষ্টিমুখ করাতে এবং আবির খেলায় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে।

অন্যদিকে আচার্যর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই তার আবেদন গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীকে তার পদে ফেরানোর জন্য আবেদন করেছেন তার আইনজীবী। যদিও আচার্যের তরফ থেকে মেল পাওয়ার পরেই সাধন চক্রবর্তী নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।

আচার্য তথা রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। ঘটনাটি ভালভাবে নেয়নি রাজ্য সরকারও। তবে উপাচার্য নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, এমন কারণ দেখেই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে রাজভবন। এরপরেই আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মধ্যে দেখা গিয়েছে উচ্ছ্বাস। আর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উপাচার্য।

উল্লেখ্য, গত দু মাসের বেশ কিছু সময় আগে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার চন্দন কোনারকে বরখাস্ত করেন উপাচার্য। এরপরেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্মীরা। সেই আন্দোলনে যোগ দেয় পড়ুয়াদের একাংশ।

আন্দোলন চলছিল ক্রমাগত। তার মধ্যেই গড়িয়েছে অনেক জল। এরপর আচার্য – রাজ্যপাল বোস পদ থেকে সরিয়েছেন উপাচার্যকে। রাজভবনের সিদ্ধান্তে খুশি আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। তবে বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়েছেন উপাচার্য।

(Feed Source: news18.com)