নয়াদিল্লি : আইনসভায় ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যাপারে বারবার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় রাজনৈতিক দলগুলি। এর মধ্যে কংগ্রেস ২০০৯, ২০১৪ আর ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে জানিয়ে দিয়েছিল ক্ষমতায় এলে তাঁরা ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের আইন চালু করবে। একই প্রতিশ্রুতি বিজেপিও দিয়েছিল তাঁদের ২০১৪ আর ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে। কিন্তু বাস্তবের তথ্য আলাদা কথা বলছে।
কিন্তু ভোটের সময় যখন নিজের দলে মহিলা প্রার্থী বাছাই করতে হয় তখন আর ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের কথা মনে পড়ে না দলের নেতাদের। সদ্য শেষ হওয়া কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১২ জন মহিলা প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল। কংগ্রেস আরও কম, ভোটে দাঁড় করিয়েছিল মাত্র ১১ জন মহিলা প্রার্থীকে। আর জেডিএস ১৩ জন মহিলা প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কর্ণাটকে জয়ী মহিলা বিধায়কের সংখ্যাও লক্ষ্যনীয়। এর মধ্যে বিজেপির বিধায়ক আছেন ৫ জন, কংগ্রেসের ৪ জন আর জেডিএসের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছেন ১ জন বিধায়ক। নির্দল প্রার্থী হিসাবে ১ জন বিধায়ক জিতেছেন। অর্থাৎ ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় সাকুল্যে ১১ জন মহিলা বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। যা শতাংশের বিচারে ৫ শতাংশের কাছাকাছি।
অথচ কর্ণাটক সেই রাজ্য যেখানে মহিলা ভোটারের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি। আর এহেন রাজ্যে ভোটের লড়াইয়ে নামা ২৬১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৮৫ জন। মোট প্রার্থীর তুলনায় ১০ শতাংশেরও কম। তার মধ্যে ৬৪ জন নির্দল প্রার্থী। হাই-টেক বেঙ্গালুরু যে রাজ্যের রাজধানী সেখানে রাজনৈতিক নেতাদের এহেন সচেতনতার নজির দেখে চিন্তিত রাজনৈতিক মহল।