জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশের খাবারই সেখানকার ইতিহাস,ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এমনকী মানুষের কথা বলে। আরও খোঁজ করলে দেখা যাবে স্থানভেদে খাবার জলবায়ুগত, জনসংখ্যাগত, আর্থ-সামাজিক বা পরিবেশগত কারণের উপর নির্ভর করে পালটে যেতে থাকে। আবার কোনও দেশের এক্সক্লুসিভ খাবারের আইটেম অন্য কোনও দেশে নিষিদ্ধ। সেই তালিকায় রয়েছে কেচাপ, ঘি এবং সিঙারা আরও কত কী….
অনেকেই হয়তো জানেন না বেশ কিছু দেশে ব্যান সিঙারা। আর এটিই সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলের সোমালিয়া ২০১১ সাল থেকে এই সুস্বাদু খাবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আসলে দেশের আইন অনুযায়ী এই আইন ভাঙলে চরম শাস্তি হতে পারে। তারা বলছেন, ‘আল-শাবাব গ্রুপ’-এর কাছে এই জলখাবারটির ত্রিভুজাকৃতিটি খ্রিস্টধর্মের প্রতীক বলে মনে হয়েছে।
ভারতের মানুষ অনেক দিন ধরেই চাওয়ানপ্রাশের ওপর নির্ভরশীল। বলা হয়, এটি স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা আমাদের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। কিন্তু কানাডা ২০০৫ সালে এই দেশীয় ওষুধকে নিষিদ্ধ করে। জানা গিয়েছে, এই পণ্যে সীসা ও পারদের মাত্রা বেশি থাকার কথা উল্লেখ করেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ঘি-এর উপকারিতার জন্য আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। ভারতে ঘি-কে সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যার মধ্যে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কিন্তু মার্কিন প্রদেশে এটি নিষিদ্ধ পণ্য। কারণ ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দাবি, ঘি খেলে রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক ও স্থূলতার মতো রোগ হতে পারে।
বিভিন্ন খাবারে স্বাদ যোগ করে কেচাপ। সিঙারা-পকোড়া থেকে শুরু করে নুডলস, স্যান্ডউইচ – প্রায় সব কিছুর সঙ্গেই আমরা কেচআপকে জুটিতে বেঁধে নিই। কিন্তু ফ্রান্সে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় কেচাপ খাওয়ার বিষয়টি ফ্রান্স সরকারের নজরে আসার পর সে দেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর পরিচ্ছন্নতার জন্য বিখ্যাত এবং তার জন্য রয়েছে কঠোর নিয়মও জারি করা হয়। এ কারণেই ১৯৯২ সালে দেশে সব ধরনের চুইংগামের ব্যবহার, বিতরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সীমিত করে দেয়। তবে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে ২০০৪-এ দেশটি থেরাপিউটিক ডেন্টাল চুইংগাম খাওয়ার অনুমতি দেয়। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার কাবাব। ভেজ হোক বা নন-ভেজ, কাবাব কখনওই আমাদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয় না। কিন্তু জানেন কি ভেনিসে নিষিদ্ধ এই সুস্বাদু খাবার? ‘শহরের শালীনতা ও ঐতিহ্য রক্ষায়’ ২০১৭ সালে কাবাবের দোকানে নিষেধাজ্ঞা চালু করে এই শহর।
এটি ভারতের অন্যতম প্রধান খাবার বলে মনে করা হয়। বাংলার রান্নায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং যে কোনও রান্নায় নয়ামাত্রা যোগ করে। কিন্তু মরফিনের পরিমাণের কারণে সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে এই বীজ নিষিদ্ধ। জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল নারকোটিক্স ব্যুরো এটিকে ‘নিষিদ্ধ পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও এটি নিষিদ্ধ। তবে রাশিয়ায় পোস্ত চাষ বেআইনি হলেও বিক্রি হয় বলে শোনা যায়।
(Feed Source: zeenews.com)