কলকাতা: তৃণমূল নেতাকে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না দিলে রীতিমতো হুমকি এবং দোকানের ইলেকট্রিকের লাইন কেটে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটে।ওই ইলেকট্রিকের লাইনগুলো গেছে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে।বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি তাদের নির্দিষ্ট মূল্য দিতে হয় আর সেই মূল্য শুনলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়তে হবে৷ দক্ষিণ কলকাতার পাটুলি এলাকা থেকে এই ধরণের অভিযোগ সামনে এসেছেপাটুলি থেকে ঢালাইব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার বাঁ দিক ধরে প্রচুর দোকান এবং নার্সারি রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা পাওয়া যায়। সারাদিন প্রচুর লোক লাইন দিয়ে ওখান থেকে বিভিন্ন গাছের চারা কেনে।সেই সমস্ত দোকানে বিদ্যুতের যে সংযোগগুলি রয়েছে সেগুলো প্রত্যেকটি পাটুলি মোড়ের দুটি তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে গেছ।
প্রায় হাফ কিলোমিটার এর মতো লম্বা ভাব সিইএসসির বিদ্যুৎ এইভাবে বিক্রি করা যায়?তার উত্তর প্রায় কারোর কাছেই নেই, মানুষই বলতে পারছেন না।এক একটি দোকান থেকে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ইলেকট্রিকের বিল নেয় ওই পার্টি অফিসের নেতারা ,বলে অভিযোগ।
বিদ্যুতের ইউনিট পিছু কেউ নেন ১৫ টাকা ,কেউ নেন ২৫ টাকা।ওই তৃণমূল নেতাদের ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চায় না।এক দোকানদার জানান , ‘‘তৃণমূল নেতা ইউনিট পিছু ২৫ টাকা করে নেয়।’’
এদিকে অভিযুক্ত নেতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ ‘এসব বাজে কথা।‘ তবে তার পার্টি অফিস থেকে যে ইলেকট্রিকের লাইন গেছে,সেটা কিন্তু তিনি স্বীকার করে নেন। এলাকায় প্রায় ১০০টির বেশি দোকান রয়েছে।
স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রচুর ক্ষোভস্থানীয় কাউন্সিলর স্বরাজ মন্ডল জানান, ‘‘যদি তারা হকার হয়ে থাকেন তাহলে তাঁরা তো সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ দফতরে বিদ্যুতের আবেদন জানালে মিটার পেয়ে যাবেন।’’ তিনি আরও বলেন তারা অন্যের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ এইভাবে নিয়ে শোষিত হচ্ছেন কেন?’’ তিনি এও দাবি করেন যে,যারা ওইভাবে বিদ্যুৎ নিচ্ছেন,তারা কোনদিন তার কাছে কোন অভিযোগ কিংবা আবেদন নিয়ে যাননি।
তবে বর্ষাকালে রীতিমতো বিপদের সম্ভবনা তৈরি হয় ওখানে। কাঁচা হাতে কোনওরকম ভাবে লাইনগুলো জোড়া।এই নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রচুর ক্ষোভ।কিন্তু ওই নেতাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না।
(Feed Source: news18.com)