নয়াদিল্লি : গরু পাচার মামলায় এবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জেলমুক্তির আবেদন অনুব্রতর। দিল্লির আদালতে ফের জামিনের আবেদন করলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের সিবিআইয়ের বিশেষ বেঞ্চে আগামী ২৩মে ফের এই মামলার শুনানি।
অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। তাঁর হৃদযন্ত্রে ৭২-৭৫ শতাংশ ব্লকেজ রয়েছে। শ্বাসকষ্টের গুরুতর সমস্যা। সমস্যাও রয়েছে লিভারেও। নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন অনুব্রত। এছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত তিনি। তাই তাঁর বাইরে গিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন। জেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপর যে আস্থা নেই, সেটা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। এবার বাইরে গিয়ে চিকিৎসার আবেদন জানিয়ে জামিনের আর্জি জানালেন অনুব্রত।
বীরভূমের দাপুটে নেতা শারীরিক ভাবে বেশ বেকায়দায় বহুদিন যাবৎ। অন্তত তেমনটাই দাবি তাঁর ও পরিবার ও অনুগামীদের। এর আগে আদালতে বারবার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেতা। সম্প্রতি এইমস (AIIMS), সফদরজং, জে বি পন্থ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা হয় তাঁর। যদিও কোনও হাসপাতালই তাঁর চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেনি। এখন দেখার রাউস অ্যাভিনিউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের রায়ে আদৌ জামিন তিনি পান কিনা। পরবর্তী শুনানিতে আগামী ২৩ মে কী সিদ্ধান্ত নেয় আদালত সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক বছর কারাবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। গত বছরের জুলাই মাসে গরু পাচার মামলায় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন অনুব্রত। গ্রেফতারির পরই ইডি আধিকারিকরা তাঁর নামে বেনামে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পান। যার উৎসের খোঁজে নামে ইডি। সেই অনুযায়ী তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের পর বর্তমানে অনুব্রতর ঠিকানা তিহাড় জেল। প্রায় মাস দু’য়েক সেখানেই রয়েছেন দোর্দন্তপ্রতাপ নেতা।
জামিন না হলে আপাতত আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত তাঁর ঠিকানা তিহাড় জেল। আবার এই একই মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তিহাড়েই রয়েছেন তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। দিন দুয়েক আগেই জেলবন্দি অবস্থায় একে অপরকে দেখে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন অনুব্রত। এরইমধ্যে এবার শারীরিক কারণ দেখিয়ে জামিন চাইলেন তিনি।