ক্যাশে ফাইল। নাম শুনলে ডিলিট করার কথাই মাথায় আসে। স্মার্টফোন হোক কিংবা ল্যাপটপ, স্লো হয়ে গেলে সবাই বলেন, ‘ক্যাশে ফাইল ডিলিট করো’। শুধু তাই নয়, সবাই বিশ্বাসও করেন যে ক্যাশে ফাইল ডিলিট করলেই ফোন বা ল্যাপটপ ফাস্ট চলতে শুরু করবে। কিন্তু এটা কি আদৌ সত্যি? জেনে নেওয়া যাক ক্যাশে ফাইল কী কাজে আসে।
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ক্যাশে ফাইল কী। এটা ডেটা ফাইল, ফটো এবং অনেক ধরনের মাল্টিমিডিয়া হতে পারে। যখন কেউ প্রথমবার কোনও ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ওপেন করেন, তখন এটা তাঁর ডিভাইসে সংরক্ষিত হয়। যখন সেই ব্যক্তি একই ওয়েবসাইট বা অ্যাপ দ্বিতীয়বার ওপেন করেন তখন সেই ডেটা ব্যবহার করা হয়।
ক্যাশিং হল একটি ফোন বা ওয়েব ব্রাউজারে ক্যাশ করা ডেটা বা ক্যাশে করা ফাইলগুলিকে হিস্টরি হিসাবে সেভ করার কৌশল যাতে কোনও ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ভবিষ্যতে ভিজিট করার সময় ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করা যায়।
ক্যাশে করা ফাইলগুলি কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ক্যাশে করা ডেটা অস্থায়ী স্টোরেজ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্যেই রাখা হয়েছে। একবার কোনও ব্যক্তি একটি ওয়েবসাইট খুললে, তাঁর ডেটা তাঁর ফোনে সংরক্ষণ করা হয়। এই পরিস্থিতিতে একই ওয়েবসাইটে যখন তিনি দ্বিতীয়বার ভিজিট করেন তখন ডেটা সেভ হওয়ার কারণে সেটা খুলতে বেশি সময় লাগে না।
যেমন যদি কেউ ট্যুইটার অ্যাপ বন্ধ করে ১০ মিনিট পর আবার খোলেন তাহলে আগে লোড হওয়া পোস্টগুলো দেখা যাবে, নিচে স্ক্রল করতেও সময় লাগবে না। ক্যাশে না থাকলে সব কিছু পুনরায় লোড করতে হত।
এখন যদি কেউ দেখেন ক্যাশে করা ডেটার কারণে মোবাইল বা অন্য ডিভাইসের মেমোরি ফুল হয়ে যাচ্ছে বা স্লো হয়ে যাচ্ছে তখন এটা ডিলিট করা উচিত। কোনও অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্সের জন্য ক্যাশে করা ডেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর মানে হল যে এটিতে থাকা ফাইল পুনরায় লোড করতে হবে।