জি-৭ সম্মেলনে চিন, পাকিস্তানের সম্পর্কে স্পষ্ট অবস্থান ঘোষণা মোদির

জি-৭ সম্মেলনে  চিন, পাকিস্তানের সম্পর্কে স্পষ্ট অবস্থান ঘোষণা মোদির

নয়াদিল্লি: জি-৭ সম্মেলনের আগে প্রতিবেশী দেশ-এর সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ভারত বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চলিয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের আবহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। আর এই ব্যাপারে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাটা অবশ্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব। সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে হিরোশিমায় পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এরপরই জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, জঙ্গিদের মদত দেওয়ার মত বিপজ্জনক প্রবনতা থেকে নিজেদের বিরত রাখার বিষয়ে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।

চিনের ব্যাপারেও নির্দিষ্ট অবস্থানের প্রসঙ্গ ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দেন মোদি। তাঁর দাবি, ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা। আবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্ত বরাবর কোনও অংশ দখলে নেওয়ার মত আচরণও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে বারবার নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে সন্ত্রাসে উসকানি দেওয়া আর আলোচনা করা- একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারে না ইসলামাবাদ। বারবারই সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে আম্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছে ভারত।

চিনের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গে মেদি ওই সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, ভারত তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাতা রক্ষায় সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোদির কথায়, ”চিনের সঙ্গে সাধারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে গেলে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখাটা আগে দরকার। চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার উপরে।”

(Feed Source: news18.com)