ফুটপাতে জুতোর দোকান, সংসার সামলেও বেনজির সাফল্য, অভিজিৎ আজ পড়ুয়াদের অনুপ্রেরণা

ফুটপাতে জুতোর দোকান, সংসার সামলেও বেনজির সাফল্য, অভিজিৎ আজ পড়ুয়াদের অনুপ্রেরণা

জলপাইগুড়ি: চেষ্টা থাকলে কোনও বাধাই বাধা নয়। তারই জলজ্যান্ত উদাহরণ অভিজিৎ। একদিকে ফুটপাতে জুতোর দোকান অন্যদিকে পড়াশোনা। দু’দিক সামলেও পড়াশোনা করে বিদ্যালয়ের সকলের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে জলপাইগুড়ির সকলের মুখ উজ্জ্বল করেছে অভিজিৎ।তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৯।

নিজের শখ আনন্দকে ভুলে বাবার সঙ্গে ফুটপাতে জুতো বিক্রি করেও চমকপ্রদ সাফল্য অর্জন করেছে জলপাইগুড়ির দেশবন্ধু উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিজিৎ দাস, তার মোট নম্বর ৬৪৯। অভিজিৎ-র ইচ্ছে আইটিআই-এ পড়া। অভিজিৎয়ের সাফল্যের জন্য এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও আনন্দ লক্ষ্য করা গেল। তার ভবিষ্যৎ সাফল্য অর্জনের কামনা করে আশির্বাদও করেন। অভিজিৎ-এর মা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে অভিজিৎ। আজ এই সাফল্য আমরা খুব খুশি।

অভিজিৎ-এর বাড়ি শহর থেকে ছাড়িয়ে পার্ক মোড় এলাকায়। সেখানেই তার বাবার সঙ্গে ফুটপাতে জুতো বিক্রি করে। সব ছাত্রদের পড়াশোনা ছাড়াও কিছু শখের কথা শোনা যায় কিন্তু এই ছাত্রের একটু ব্যতিক্রম। কারণ, তাকে পড়াশোনা ছাড়াও জুতোর দোকান সামলাতে হয়।অন্যান্যদের তুলনায় সংসারের দায়িত্ব ঢের বেশি। দম ফেলার সময় নেই। বাবার দোকানে পড়াশোনা করে অবসর সময়ে জুতোর দোকান সামলায় সে।

অভিজিৎ জানিয়েছে, “পড়াশোনার পাশাপাশি আমাকে জুতোর দোকান সামলাতে হয়, তার ফাঁকেই পড়াশোনা করতাম। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক সাহায্য করেছেন। ওনাদের ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব হত না। খুবই ভাল লাগছে।” অভিজিৎ যে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও হাল না ছেড়ে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। অনেক পড়ুয়াদের কাছেই অভিজিৎ অনুপ্রেরণা।

(Feed Source: news18.com)