বিচ্ছেদের কাগজে সই করতে এসে মালা বদল করে ফিরলেন দম্পতি! বিচারকের সাফল্যে খুশি

বিচ্ছেদের কাগজে সই করতে এসে মালা বদল করে ফিরলেন দম্পতি! বিচারকের সাফল্যে খুশি

ভোপাল: সম্প্রতি এক পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে গত কয়েক বছরে সব থেকে বেশি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা দেখা গিয়েছে প্রেম বিবাহের ক্ষেত্রে। এই বিষয়টি নিয়ে যদিও বিতর্কের অবকাশ রয়েছে, তবু পরিসংখ্যান বলছে গত কয়েক বছরে ভারতে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়েছে।

এমনই সংখ্যা হয়ে থেকে যেতে পারতেন মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বাসিন্দা এক দম্পতি। অন্তত সেদিকেই গড়িয়েছিল পরিস্থিতি। কিন্তু ঘটনাচক্রে নাটকীয় ভাবে সেই পরিস্থিতিই মোড় নিল একেবারে বিপরীত মুখে। দাম্পত্য রক্ষার কাণ্ডারী হয়ে রইলেন স্বয়ং বিচারক।

জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছিলেন। শেষ দিন আদালতে এসেছিলেন সই করে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে। কিন্তু শেষমেশ সই না করে করলেন মালা বদল। আরও একবার পুরনো সম্পর্কে ফিরে যাওয়া এবং তা রক্ষা করার অঙ্গীকারও করলেন।

সম্প্রতি তাঁদের ছবিও দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গাঁদার মালা বদল করে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন দম্পতি। মালায় গিঁট পড়ে গিয়েছে। তবে সেই গিঁট শুভ। এক সময় এমন জট পাকিয়ে গিয়েছিল তাঁদের সম্পর্কও।

সাগর জেলার গোপালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সোনু ও তাঁর স্ত্রী বর্ষা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন। জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদ ছিল। করোনার সময় লকডাউন পর্বে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বর্ষা ফিরে যান বাপের বাড়ি। গত তিন বছর আলাদাই থাকছিলেন বর্ষা আর সোনু। গত বছর দুই পরিবারই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে।

বিবাহ বিচ্ছেদের চূড়ান্ত পর্বে পারিবারিক আদালতের বিচারক তাঁদের বুঝিয়ে বলেন। আর তাতেই কাজ হয়। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন বর্ষা, সোনু। হাসি মুখে মালা বদল করে নেন দু’জনে। প্রতিশ্রুতি দেন আগামী দিন সুখে কাটানোর।

এক দম্পতিকে বিচ্ছেদের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরে খুশি বিচারকও। সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছে দুই পরিবারও।

(Feed Source: news18.com)