তিন কোটির বেশি বকেয়া বিনোদন কর, নাইট রাইডার্সের জবাব চাইল কলকাতা পুরসভা

তিন কোটির বেশি বকেয়া বিনোদন কর, নাইট রাইডার্সের জবাব চাইল কলকাতা পুরসভা

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপুল পরিমাণ বিনোদন কর বকেয়া রয়েছে। আর তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। সেখানে একনয়া–পয়সা ঠেকাচ্ছে না কেকেআর। ফলে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এই টাকা আদায় হলে তা উন্নয়নের কাজে লাগানো যাবে। সেখানে পড়েই আছে বকেয়া বিনোদন কর। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কলকাতা পুরসভার কর্তারা। কারণ এখনও পর্যন্ত কেকেআর–এর কাছে বিনোদন কর বাবদ বকেয়া পড়ে আছে তিন কোটি টাকারও বেশি।

এবার সেই টাকা ঘরে তুলতে তৎপরতা শুরু করল কলকাতা পুরসভা। কবে বকেয়া টাকা মিলবে?‌ এই নিয়ে কয়েকদিন আগে নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় কলকাতা পুরসভার। সেই বৈঠকে নাইটদের বকেয়া বিনোদন করের টাকা মেটাতে বলা হয়েছে। এই বিষয়ে কেকেআর কোনও বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে না বললেও আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তা জানাতে বলেছে কলকাতা পুরসভা। এমনকী যথাযথ তারিখ দিয়ে বকেয়া টাকা মেটাতে বলা হয়েছে। যদিও সেটা কিস্তিতে মেটানো যাবে কিনা এমন কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে নিয়ম অনুযায়ী, কলকাতার কোনও জায়গায় খেলা, সার্কাস, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং ইভেন্টের ক্ষেত্রে বিনোদন কর বাবদ টাকা নেয় কলকাতা পুরসভা। সেখানে কলকাতা পুরসভার বিনোদন কর বিভাগ সূত্রে খবর, প্রত্যেক বছর আইপিএলের সময় নাইট রাইডার্সকে বিনোদন কর বাবদ বিল ধরানো হয়। প্রত্যেকবারই প্রায় ৬৮ লক্ষ টাকার মতো বিল হয়। আর তারা বিল পেয়েও ২৫ লক্ষ টাকা করে দেয় প্রত্যেক বছর কলকাতা পুরসভাকে। বাকি টাকা বকেয়াই থেকে যায়। এখন দশ বছর ধরে সেই বকেয়া টাকা জমতে জমতে তিন কোটি টাকারও বেশি হয়ে গিয়েছে। তাই অবিলম্বে মেটাতে বলা হয়েছে।

কেন বিল দিচ্ছে না কেকেআর?‌ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, গত ১৯ মে নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষকে কলকাতা পুরসভায় বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার, বিনোদন কর বিভাগের অন্যান্য কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকেই তোলা হয়, কলকাতা পুরসভা এই বছরও তাদের ৬৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার বিল ধরিয়েছে। আর বকেয়া–সহ নাইট রাইডার্সের প্রতিনিধিদের এই টাকা দিতে বলা হয়েছে। তবে তাঁদের এই নিয়ে বক্তব্য রয়েছে। পুরসভা যে বিল ধরিয়েছে, সেই পরিমাণ টাকা দিতে তাদের আপত্তি রয়েছে। কেকেআর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, অনেক সময় বিভিন্ন ঘোষিত ম্যাচ ইডেন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুতরাং টাকার পরিমাণ কমবে। তাদের তথ্য–সহ লিখিতভাবে আগামী ১৫ দিনের মধে বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে।

(Feed Source: hindustantimes.com)