মাথা কেটে খুনের পর প্রেমিকার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করল লিভ-ইন পার্টনার!

মাথা কেটে খুনের পর প্রেমিকার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করল লিভ-ইন পার্টনার!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাড়হিম করা শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যালীলার পুনরাবৃত্তি। ফিরল সেই ভয়ংকর স্মৃতি। মুণ্ডচ্ছেদ করে লিভ-ইন পার্টনারকে খুন। তারপর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফ্রিজে রাখে অভিযুক্ত। আর দেহটাকে স্যুটকেসে পুরে দেয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। মৃতার নাম অনুরাধা রেড্ডি।

পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত চন্দ্র মোহন অনুরাধা রেড্ডিকে কুপিয়ে খুন করে। মুণ্ডচ্ছেদ করে। তারপর দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে। কিছু দেহাংশের টুকরো ফ্রিজে পুরে রাখে। কিছু সুটকেসে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চন্দ্র মোহনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতের বয়স ৪৮ বছর। স্থানীয় ডিসিপি জানিয়েছেন, ১৭ মে জিএইচএমসি-র এক কর্মীর কাছ থেকে খবর পাই যে মুসি নদীর কাছে থিগালগুড়া সড়কের পাশে আফজল নগর কমিউনিটি হলের সামনে আবর্জনা ফেলার জায়গায় কালো আবরণে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মুণ্ডু দেখতে পান।

এই খবর পাওয়ার পর মোট আটটি দল গঠন করে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিস। এক সপ্তাহ ধরে ঘটনার পরম্পরা বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তকে ধরে পুলিস। ধৃতকে জেরা করে গোটা ঘটনা সামনে আসে। জানা গিয়েছে, অনুরাধা রেড্ডির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল চন্দ্র মোহনের। একই বাড়িতে থাকতেন মৃতা ও অভিযুক্ত। ২০১৮ সালে অভিযুক্ত অনুরাধা রেড্ডির কাছ থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু অনুরাধা রেড্ডি বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি অভিযুক্ত।

এরপর টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য অনুরাধা রেড্ডি অভিযুক্ত চন্দ্র মোহনের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তখনই তাকে খুনের পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত চন্দ্র মোহন। পরিকল্পনা মাফিক অনুরাধা রেড্ডিকে খুন করে চন্দ্র মোহন। ১২ রাতে অনুরাধা রেড্ডিকে খুন করে চন্দ্রমোহন। তারপর পরিকল্পনা অনুযায়ী দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে। পাথর কাটার মেশিন দিয়ে দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে। প্রমাণ লোপাটের জন্যই দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে অভিযুক্ত। যাতে দেহাংশগুলি যত্রতত্র ছড়িয়ে ফেলতে সুবিধা হয়।

(Feed Source: zeenews.com)