ভুল চিকিৎসার অভিযোগে ফের কাঠগড়ায় রাজ্যের অন্যতম একটি বড় সরকারি হাসপাতাল। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত দুই মহিলার শিরার বদলে মাংসপেশিতে কেমো দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আর তার ফলে হাতের মাংসপেশি গলে বেরিয়ে গেল হাড়! এমনই অভিযোগ উঠেছে এনআরএস হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ওই দুই মহিলার নাম সাবিনা খাতুন এবং গীতা বিশ্বাস। তাঁদের আরও অভিযোগ, শিক্ষানবিশ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে কেমো দেওয়ার ফলে এই সমস্যা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, টিটাগরের বাসিন্দা সাবিনা খাতুন এবং কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা গীতা বিশ্বাস দুজনেই হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন গত ১৭ মার্চ। ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায় তাঁরা দুজনেই কেমোর জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। গীতা বিশ্বাসের অভিযোগ, কেমোর জন্য তাঁর হাতে চ্যানেল করা হয়েছিল। কিন্তু, শিরার বদলে চলে যায় মাংসপেশিতে কেমো। তাঁর অভিযোগ, যাঁরা শিক্ষানবিস তাঁদের দিয়েই কেমো দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কেমো দেওয়ার সময় চিকিৎসক নিজেই নাকি শিক্ষানবিশদের শেখাচ্ছিলেন যে ‘ভুল হলে মাংস পচে যাবে।’ আর তেমনটাই হয়েছে এই দুই মহিলার ক্ষেত্রে। এত বড় হাসপাতালে কীভাবে এই ভুল হল তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দুজনেই। মাংস পচে হাড় বেরিয়ে যাওয়ায় এখন যন্ত্রণায় ছটফট করছেন দুই মহিলা। এই অবস্থায় কার কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবেন? কার কাছেই বা অভিযোগ জানাবেন? তা বুঝে উঠতে পারছেন না দুই মহিলার পরিবারের সদস্যরা। এখন তাঁরা চাইছেন, কোনওভাবে যাতে হাতের হাড় ঢাকা সম্ভব হয়, হাসপাতাল তার ব্যবস্থা করে দিক।
যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। ক্যানসার বিশেষজ্ঞের মতে, যারা জানেন তাঁদের দিয়ে এই ধরনের কাজ করানো উচিত। আর না হলে ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে।। এই বিষয়টি অবশ্য জানা নেই তৃণমূল সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেনের। তিনি বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজে কেউ শিক্ষানবিশ নন, সকলেই পোস্ট গ্রাজুয়েট। তারা সকলেই ট্রেনিং। তারাই কেমো দিয়ে থাকেন। তবে যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’ প্রয়োজনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।
(Feed Source: hindustantimes.com)