বাজারে এখন ইলেকট্রিক ভেহিকেলের রমরমা। বিশেষ করে টু-হুইলার। অনেক বড় কোম্পানিও ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করেছে। এগুলোর বেশিরভাগই উচ্চ শক্তির মোটরে সজ্জিত। ফলে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন।
তবে ভারতের বাজারে এমন কিছু ইলেকট্রিক স্কুটার রয়েছে যেগুলির জন্যে কোনও রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয় না। সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকল রুলস অনুযায়ী, ২৫০ ওয়াটের কম পাওয়ার আউটপুট এবং প্রতি ঘণ্টায় ২৫ কিমি গতির স্কুটারে রেজিস্ট্রেশন দরকার নেই। এখানে এমন ইলেকট্রিক স্কুটারের একটি তালিকা দেওয়া হল।
ওকিনাওয়া লাইট: এর দাম ৬৬,৯৯৩ টাকা (এক্স শোরুম)। এই ই স্কুটারে ২৫০ ডব্লিউ মোটর লাগানো হয়েছে। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫ কিমি। মোটরটি ১.২৫ কেডব্লিউএইচ ব্যাটারি দ্বারা চালিত। প্রতি চার্জে ৬০ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারে। ৪ থেকে ৫ ঘণ্টায় ০ থেকে ১০০ শতাংশ চার্জ হয়।
কোমাকি এক্সজিটি কেএম: দাম ৫৬,৯৮০ টাকা (এক্স শোরুম)। সর্বোচ্চ গতিও ২৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। স্কুটারে ৬০ভি২৮এএইচ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। প্রতি চার্জে ৬০ থেকে ৬৫ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারে। ৪-৫ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়।
অ্যাম্পিয়ার রিও এলিট: ভারতে অ্যাম্পিয়ার রিও এলিটের দাম ৬০,৪৯০ টাকা। ২টি ভ্যারিয়েন্ট এবং ৪ রকম রঙে পাওয়া যাচ্ছে। এতে আছে ২৫০ ওয়াটের মোটর। ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জে ৫৫-৬০ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারে।
হিরো ইলেকট্রিক অপটিমা এলএক্স: হিরো ইলেকট্রিক অপটিমা এলএক্স-এর দাম ৫১,৪৪০ টাকা থেকে ৬৮,৭৯৬ টাকা (এক্স শোরুম)। এতে দেওয়া হয়েছে ৫১.২ ভোল্টের ব্যাটারি। কোম্পানির দাবি, সম্পূর্ণ চার্জে ৮৫ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫ কিমি।
জেমোপাই মিসো: গোরিন ই-মোবিলিটি এবং ওপাই ইলেকট্রিকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে জেমোপাই মিসো। দাম ৪৪ হাজার টাকা (এক্স শোরুম, হায়দ্রাবাদ)। ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে পুরো চার্জ হয়ে যায়। প্রতি চার্জে পাড়ি দেয় ৭৫ কিমি পথ।
ওকিনাওয়া আর ৩০: এতে রয়েছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাকের সঙ্গে যুক্ত ২৫০ ওয়াটের বৈদ্যুতিক মোটর। দাম ৫১,৯৯৮ টাকা (এক্স শোরুম)। প্রতি চার্জে ৬০ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারে।
হিরো ইলেকট্রিক ফ্ল্যাশ এলএক্স: হিরো ইলেকট্রিক ফ্ল্যাশ এলএক্স ৫১.২ ভোল্টের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি দ্বারা চালিত, যা প্রতি চার্জে ৮৫ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারে। এতে রয়েছে হাব মাউন্ট করা ২৫০ ওয়াটের বৈদ্যুতিক মোটর। দাম ৫৯,৬৪০ টাকা (এক্স শোরুম, অন্ধ্রপ্রদেশ)।