অভিষেকের কনভয়ে হামলার জের! কড়া নবান্ন, চাওয়া হল রিপোর্ট

অভিষেকের কনভয়ে হামলার জের! কড়া নবান্ন, চাওয়া হল রিপোর্ট

কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কনভয় হামলার বিষয়ে ঝাড়গ্রামে পুলিশ সুপারের থেকে রিপোর্ট চাইল রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেড প্লাস ক্যাটাগরি সিকিউরিটি পান। তাঁর যাওয়ার রুট আগে থেকেই জানানো থাকে। পুরুলিয়া সহ কয়েকটি জায়গায় কুড়মিদের বিক্ষোভ হয়েছে। তারপরেও ঝাড়গ্রাম এর বিক্ষোভ হতে পারে, তার আগাম সঙ্কেত কেন ছিল না জেলা পুলিশের কাছে? তা নিয়ে ঝাড়গ্রামের এসপির ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ নবান্ন শীর্ষ মহলের।

ঝাড়গ্রামে কুর্মিদের বিক্ষোভ হতে পারে, সেই আশঙ্কার কথা জেলা পুলিশকে জানানোর পরেও কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা হল না নিরাপত্তার তা নিয়ে ঝাড়গ্রাম এসপির থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ায় জনসংযোগ যাত্রা শেষ করে এ দিনই পশ্চিম মেদিনীপুরে পৌঁছনোর কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মাঝ রাস্তায় অভিষেকের পথ আটকান কুর্মি বিক্ষোভকারীরা। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

কুর্মিদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়ে এদিন থমকে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গড় শালবনিতে। অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয় অভিষেককে। অভিযোগ, বিক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাঁড়ি পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয়।

পরিস্থিতি শান্ত করতে অভিষেক গাড়ি থেকে নেমে এলেও কাজ হয়নি। উল্টে তাঁকে লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগান ওঠে৷ অভিষেককে লক্ষ্য করে জলের বোতলও ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। সংবাদমাধ্যমের গাড়ির উপরেও হামলা চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত কোনওক্রমে অভিষেক সহ অন্যান্য মন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতাদের ওই জায়গা থেকে বের করে নিয়ে যায় পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তফশিলি উপজাতি স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কুর্মিরা। কয়েকদিন আগে নবান্নে কুর্মি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই বৈঠকেও যে জল গলেনি, এ দিনের ঘটনায় তা প্রমাণিত হয়ে গেল।

(Feed Source: news18.com)