পরিবেশের উপকার, লাভও পকেটে! নতুন আয়ের পথ দেখাচ্ছে ‘গ্রিন বিজনেস’

পরিবেশের উপকার, লাভও পকেটে! নতুন আয়ের পথ দেখাচ্ছে ‘গ্রিন বিজনেস’

মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতিতে কোনও উন্নতির সম্ভাবনা প্রায় দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে যদি কেউ ব্যবসা করতেও চান, তাহলে অন্তত লাখ খানেক টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। সেই সাধ্য সকলের থাকে না। কিন্তু এই আবহেও এমন একটি ব্যবসার কথা বলা যেতে পারে, যেটি খুব কম খরচে শুরু করা যায়। পাশাপাশি এই ব্যবসা থেকে ভাল মুনাফা অর্জন করাও সম্ভব।

একে বলা হয় সবুজ ব্যবসা বা গ্রিন বিজনেস। এই নামের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এর অর্থ। এটি এমন ব্যবসা যা পরিবেশের ক্ষতি করে না। এই ব্যবসার মধ্যে পড়ে মাশরুম চাষ, নার্সারি, ভার্মিকম্পোস্ট, সোলার ইনস্টলেশন, বায়োগ্যাস, মৌমাছি পালন ইত্যাদি অনেক ধরনের ব্যবসা। এই সমস্ত ব্যবসা খুব কম খরচে শুরু করা যেতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকেও আজকাল সবুজ ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের ব্যবসা করার জন্য সরকারি ভর্তুকিও পাওয়া যায়। কম খরচে ভাল লাভের আশায় বহু মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তও হচ্ছেন। জেনে নেওয়া যাক মাশরুম চাষ, নার্সারি এবং ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন সম্পর্কে।

মাশরুম চাষ:

মাশরুম উৎপাদনে খরচ খুবই কম। মাত্র এক হাজার টাকা দিয়েও শুরু করা যেতে পারে। একটি মাশরুম ব্যাগের দাম ৬০ টাকা। এটি দিয়ে ২ কেজি পর্যন্ত মাশরুম উৎপাদন করা যায়। বাজারে প্রতি কেজি মাশরুমের দাম প্রায় দেড়শ থেকে দু’শো টাকা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ৬০ টাকার একটি ব্যাগ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে।

ভার্মিকম্পোস্ট:

আজকাল সরকারি উদ্যোগে জৈব চাষকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। জমিতে জৈব সার ব্যবহারের বিষয়েও সচেতনতা ক্রমশ বাড়ছে। জৈব সার ব্যবহার করলে শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এর প্রভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয় না। এই সার নিজের বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়। গবাদি পশুর মল, এমনকী বাড়িতে রান্না হওয়া সবজির খোসা দিয়েও ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি করা যেতে পারে। বড় পরিসরে ব্যবসা করতে হলে অবশ্য গোবরের প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে দিতে হবে কেঁচো। জৈব সার তৈরি হতে দু’এক মাস লাগতে পারে। বাজারে এর দাম কেজি প্রতি ৬-৮ টাকা।

নার্সারি:

এটি এমন ব্যবসা, যা শুধুমাত্র পরিবেশের উপকার করে। কেউ যদি নার্সারি ব্যবসা করতে চান, তাহলে তিনি দ্বিগুণেরও বেশি লাভ পেতে পারেন। নার্সারিতে একটি গাছ লাগাতে ৫ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। সেই গাছ বিক্রি হতে পারে ১০ থেকে ২০ টাকায়। বিহারের গয়া জেলার ইমামগঞ্জের কৃষক নন্দু দাস জানান, তিনি মাত্র ২ কাঠা জমিতে নার্সারি ব্যবসা করেছেন। গত বছর ৩৬ হাজার চারা রোপণ করে মাত্র চার মাসে তিনি ২ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। ৩৬ হাজার চারা তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।

(Feed Source: news18.com)