সমীরণ পাল ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর : ব্যারাকপুরে শ্যুটআউটের (Barackpore Shootout) পর, চরমে উঠেছে অর্জুন সিংহ ও সৌগত রায়ের বাগযুদ্ধ। এদিন অর্জুন সিংহ বলেন, জুটমিল নিয়ে খবরই রাখেন না সৌগত রায়। পাল্টা, জবাব দিয়েছেন সৌগত রায়ও।
গঙ্গাপাড়ে ঘণীভূত দ্বন্দ্বের মেঘ। চরমে উঠেছে দুই সাংসদের বাগযুদ্ধ। আদতে দুজনেই তৃণমূলের। কিন্তু কথার লড়াই শাসক-বিরোধী তরজাকেও যেন হার মানাচ্ছে। টিটাগড় থেকে নৈহাটি পর্যন্ত বিস্তৃত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে একের পর এক কারখানা-জুটমিল। কারখানার সাইরেনের পাশাপাশি, বাংলার অন্যতম প্রাচীন শিল্পশহরে এখন কান পাতলে শোনা যাচ্ছে দুই সাংসদের চাপানউতোরের কথা। একজন, তৃণমূলের অধ্যাপক সাংসদ সৌগত রায়। অন্যজন, রাজ্য রাজনীতিতে বাহুবলী নেতা হিসেবেই পরিচিত অর্জুন সিংহ। যিনি, বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হয়ে, পরে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরে আসেন।
এদিন ব্যারাকপুরের সাংসদ ও তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহ (Arjun Singh) বলেছেন, ‘উনি খবরই রাখেন না। আমরা খবর রাখি, ময়দানে আছি।’ পাল্টা দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) বলেছেন, ‘ও যখন জন্মায়নি তখন থেকে জুটমিল করছি।’
এদিকে, অর্জুনের দাবি, ‘উনি RCME-র প্রেসিডেন্ট, একটা উনি দেখিয়ে দিন উনি কোনও আন্দোলন করেছেন, জুটমিলের শ্রমিকের জন্য। আমি যখন বিজেপি সাংসদ ছিলাম, লড়াই করে ক্যাপ নিয়ে এসেছিলাম। উনি এটা খবরই রাখেন না। কোনও জুটের অর্ডার কম হয়নি। জুট ব্যাগের অর্ডার কম হয়নি। ওনার এলাকায় বরানগর জুটমিল দেড়শোর জায়গায় ২৫ টনে চলছে।’
এদিকে, ব্যারাকপুরে জেল থেকে তোলাবাজি-চক্র চলছে। ব্যারাকপুর শ্যুটআউটকাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহের। ব্যারাকপুরের সাংসদের অভিযোগ, জেল থেকে ফোন করে তোলাবাজি করা হচ্ছে। আগে ব্যারাকপুরে তোলাবাজি না থাকলেও ইদানিং তা বেড়ে গিয়েছে। অর্জুনের দাবি, পুলিশ তাঁর নিরাপত্তা তুলে নিয়ে ব্যারাকপুরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক। ব্যারাকপুরের সাংসদকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন সৌগত রায় (Sougata Roy)। ব্যারাকপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে না ভেবে উন্নয়ন নিয়ে ভাবুন অর্জুন সিংহ। খতিয়ে দেখুন কেন জুটমিলগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আক্রমণ শানান সৌগত রায়।
(Feed Source: abplive.com)