জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবার কি চিনের নীরব হুমকি? আবার কি ভারতের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলা? সম্প্রতি লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control/ LAC)-র ধারে চিন কিছু মডেল গ্রাম বানাচ্ছে বলে খবর এসেছে। এই মডেল গ্রামগুলিকে বলে ‘সিয়াওকাং’। ‘সিয়াওকাং’ বা ‘মডারেটলি প্রসপারাস’ এই গ্রামগুলি তৈরি হয়ে ওঠার খবর আসার পরেই দ্রুত তৎপর হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে চিনের মডেল গ্রাম বানানোর এই খবরটি প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফতই পাওয়া গিয়েছিল। নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে, যেখানে-যেখানে এই ধরনের গ্রাম তৈরির বিষয়ে জানা গিয়েছে সেখানে-সেখানেই দ্রুত বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রাম তৈরির পাশাপাশি সামরিক ছাউনিও তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে স্বাভাবিক ভবেই চিন্তিত ভারত।
ভারত এবং চিন দুই পড়শি দেশের মধ্যে ৩৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলএসি (LAC) রয়েছে। এই লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল তিনটি ভাগে বিভক্ত— পশ্চিমাংশ,মধ্যাংশ, পূর্বাংশ। মধ্যাংশের দেরাদুন এলাকায় এলএসি-র ও-পারে এবং পূর্বাংশে অরুণাচলপ্রদেশের উল্টো দিকে এই সিয়াওকাং বা মডেল গ্রাম অত্যন্ত দ্রুততায় বানানো হচ্ছে বলে খবর। কংক্রিটের ব্লক ট্রাকে করে এনে পরপর সাজিয়ে এই গ্রামের বাড়িগুলি তৈরি করা হচ্ছে। অধিকাংশ বাড়িই বহুতল। এক একটি গ্রামে প্রায় ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অরুণাচলের কামেং এলাকায় এলএসি-র ও পাশে ইতিমধ্যেই দুটি গ্রাম তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছে চিন। শুধু তাই নয়, প্রায় ২০০ লোক সেখানে বসবাসও শুরু করেছেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সেনাদের একটি চেকপোস্টও তৈরি করা হয়েছে। শুধু চেক পোস্ট নয়, চিন এসব জায়গায় ওয়াচটাওয়ারও তৈরি করছে বলে শোনা গিয়েছে! আর বিশেষত ওয়াচটাওয়ার ও চেক পোস্ট তৈরির এই খবরেই রীতিমতো উদ্বিগ্ন বোধ করছে ভারত। এলএসি-র মধ্যাংশে ৬-৭ কিলোমিটারের মধ্যে যেখানে ওইসব ‘সিয়াওকাং’ তৈরি করা হচ্ছে, তারই সন্নিহিত এলাকায় তৈরি করা হচ্ছে নতুন ওয়াচটাওয়ার এবং চেক পোস্ট! এই সব গ্রামে বাড়ানো হয়েছে চিনা সেনার টহলদারিও।
(Feed Source: zeenews.com)