ব্যারাকপুরের আগে হাওড়ার সোনার দোকানেও ডাকাতির ছক! চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের জেরায়

ব্যারাকপুরের আগে হাওড়ার সোনার দোকানেও ডাকাতির ছক! চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের জেরায়

সুনীত হালদার, হাওড়া : ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির আগে হাওড়ার একটি দোকানে ডাকাতির ছক ছিল দুষ্কৃতীদের। ধৃত মামা-ভাগ্নেকে জেরা করে এই তথ্য মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ব্যারাকপুরে ( Barrackpore Shootout ) সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ধৃত ২ জন সম্পর্কে মামা ও ভাগ্নে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ মে, আনন্দপুরীর সিংহ জুয়েলারি হাউসে ডাকাতির সময় মামা জামশেদ আনসারির সঙ্গেই ছিল ভাগ্নে সফি খান। পুলিশের দাবি, মামা-ভাগ্নে মিলে ব্যারাকপুর ও হাওড়ার একাধিক জায়গায় ডাকাতির ছক কষে। ভাগ্নে সফি কামারহাটির বাসিন্দা হলেও জামশেদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। কোথায় কোথায় ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল, ধৃতদের কাছ থেকে তা জানার চেষ্টা চলছে।

তাদের জেরা করেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে লুঠের আগে হাওড়ার একটি দোকানে ডাকাতির ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। ধৃত ২ জনকে জেরা করে এই তথ্য মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সানি কামারহাটি এলাকার কুখ্য়াত দুষ্কৃতী। বাবা নাসিম খানের হাত ধরেই অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয় তার। গত বছর চুরির অভিযোগে গ্রেফতারও হয়।

গত বছর ৬ অক্টোবর, কামারহাটির বাসিন্দা সরকারি আধিকারিক শাহিদ আনসারি সপরিবারে বেড়াতে যান। সেই সময় তাঁর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। প্রায় ২২ লক্ষ টাকার সোনাদানা ও নগদ দেড়লক্ষ টাকা লুঠের অভিযোগে গ্রেফতার হয় সফি। ধরা পড়ার পর সফিকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সফির মা ওই সরকারি আধিকারিকে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সূত্রেই, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে চুরি করে সফি। থানায় তার নামে অভিযোগ জানানোয়, সরকারি আধিকারিকের পরিবারকে হুমকিও দেয় সে।

এছাড়া পুলিশের দাবি, মামা-ভাগ্নে মিলে ব্যারাকপুর ও হাওড়ার একাধিক জায়গায় ডাকাতির ছক কষে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ মে, প্রথমে হাওড়ার কদমতলা এলাকার একটি সোনার দোকানে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ডাকাতদের। ১৮ মে, রেকি করতে ওই দোকানে গিয়ে ৫০০ টাকা দিয়ে একটি রুপোর চেন কেনে তারা। অলি-গলি, রাস্তা দেখে আসার পর, ২৪ মে, প্রথমে কদমতলার সোনার দোকানেই হানা দেয় ডাকাতরা। কিন্তু সেইসময় ক্রেতার ভিড় থাকায়, ডাকাতির ছক বানচাল হয়ে যায়। এরপরই ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে সিংহ জুয়েলারি হাউসে অপারেশন চালায় ডাকাতরা। গতকাল ধৃতদের নিয়ে কদমতলার ওই সোনার দোকানে আসেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। হাওড়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ী যিশুকৃষ্ণ আড়ি জানিয়েছেন, বছর দশেক আগে তাঁর দোকানে ডাকাতি হয়। এবার ডাকাতির ছক বানচাল হলেও আতঙ্কিত ব্যবসায়ী পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

(Feed Source: abplive.com)