Poet Muhammad Iqbal: ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’র কবি ইকবালকে কি বাদ দেওয়া হচ্ছে সিলেবাস থেকে?

Poet Muhammad Iqbal: ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’র কবি ইকবালকে কি বাদ দেওয়া হচ্ছে সিলেবাস থেকে?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সকলে জানেন, ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা’র লেখক উর্দু কবি মুহাম্মদ ইকবাল। শোনা যাচ্ছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ্যক্রম থেকে তাঁর জীবনী বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল গতকাল, শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মডার্ন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট’ অধ্যায়টি বিএ-এর ষষ্ঠ সিমেস্টারে পড়ানো হত। এর মধ্যেই ছিল ইকবালের জীবনী এবং সাহিত্য রচনা সম্পর্কিত ‘ইকবাল: কমিউনিটি’ শীর্ষক অধ্যায়টি। সেটাই বাদ দেওয়ার কথা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে এবিভিপি স্বাগতও জানিয়েছে।

জানা গিয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ‘ইকবাল: কমিউনিটি’ অধ্যায়টি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে পরিচালন পর্ষদের কাছে আবেদন পাঠিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালন পর্ষদই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালন পর্ষদের সভা হওয়ার কথা। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়তো সেদিনই জানা যাবে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিং বলেছেন, ‘যাঁরা ভারত ভাঙার ভিত্তি তৈরি করেছেন’ সিলেবাসে তাঁদের থাকার কোনও যুক্তি নেই! দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মেনে নিলে সিলেবাস থেকে বাদ পড়বেন ইকবাল! এর আগে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’ (এনসিইআরটি)-এর বই থেকে মোগল যুগ বাদ দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমের এই ষষ্ঠ সিমেস্টারের সিলেবাসে আছে রাজা রামমোহন রায়, পণ্ডিত রমাবাই, স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধী, ইকবাল এবং বি আর অম্বেদকরের জীবনী।

১৮৭৭ সালে অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে (বর্তমানে পাকিস্তানে) জন্ম মুহাম্মদ ইকবালের। তাঁর মৃত্যু ১৯৩৮ সালে। পাকিস্তানের জাতীয় কবি তিনি। তাঁকে পাকিস্তানের ‘ফিলোজফিক্যাল ফাদার’ বলা হয়। ১৯০৪ সালে ‘সারে জাঁহাসে আচ্ছা হিন্দুস্থান হামারা’ গানটি লেখেন কবি ইকবাল। গানটি ভারতেও ভীষণভাবে সমাদৃত। কিন্তু এবার সিলেবাস থেকেই তিনি বাদ গেলেন বলে!

(Feed Source: zeenews.com)