মুর্শিদাবাদঃ মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার লিচু বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু সেই লিচু ব্যবসায়ীদের এ বার মাথায় হাত। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা। প্রত্যেকদিন একের পর এক রেকর্ড করছে তাপমাত্রার পারদ, সাধারণ মানুষ থেকে পশুপাখি গরমে নাজেহাল সবাই। চিকিৎসকেরাও এই তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, যে বাগানের লিচু বিদেশে রপ্তানি হত, এ বছর সেই সব বাগানে লিচু নেই বললেই চলে। সারা বছর এই বাগান থেকে যা রুজি রোজগার হতো তা দিয়েই সংসার চলতো লিচু বাগান মালিকদের। তবে এ বছর ঘটল ব্যতিক্রম। লিচু কম ও সাইজে ছোট হওয়ায় মাথায় হাত মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা বেনিয়াগ্রামের লিচু বাগান মালিকদের।
লিচু বাগানের মালিক জানিয়েছেন, এ বছর লিচু এতটাই কম, লিচুতে স্প্রে করা বাগান যোগানদার রাখা বা যাবতীয় খরচই ওঠেনি। এ ছাড়াও লিচুর সাইজ ও খুব ভাল না। প্রত্যেক বছর এই বাগান থেকে ভিন রাজ্য ও বিদেশে লিচু রপ্তানি করার জন্য ক্রেতাদের ভিড় থাকত চোখে পড়ার মতো। মানুষ লিচু কেনার ও দেখার জন্য ভীড় জমাতো। তবে সারা বছর কী ভাবে সংসার চালাব, সেই চিন্তা করছি। এ ছাড়াও লিচুর ফলনের জন্য অনেক বাগান মালিক ঋণ করে টাকা নিয়ে বাগান পরিচালনা করেন, সেই টাকা বা কি করে শোধ হবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন।
এ দিকে বাজারে লিচু দাম চড়া হওয়ায় ক্রেতার পকেট টান পড়েছে। ফলে, লিচুর মরসুম শুরু হয়ে গেলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বেচাকেনা। আশপাশের এলাকার মানুষের কেনার সামর্থ্য না থাকায় লিচুর চাহিদাও নিম্নমুখী। ছোট লিচুর কুড়ি তপ্ত রোদে শুকিয়ে গিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। ছোট লিচুর কুড়ি তপ্ত রোদে শুকিয়ে গিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। চাষিদের কথায়, এমনিতেই ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লিচুর ক্ষতি হচ্ছে। তার ওপর যদি গাছের পাকা লিচু বিক্রি করতে না পারি তা হলে পুরো টাকাটাই জলে চলে যাবে। ছেলেমেয়ে নিয়ে কী খাব জানি না।’
(Feed Source: news18.com)