সংঘাত চরমে, রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের মানবে না রাজ্য! জানালেন ব্রাত্য

সংঘাত চরমে, রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের মানবে না রাজ্য! জানালেন ব্রাত্য

কলকাতা: রাজ্য সরকার পোষিত ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে আরও তীব্র হল রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত। উপাচার্য নিয়োগ করা হলেও সরকার আদৌ যে তাঁদের স্বীকৃতি দেবে না, শুক্রবার বিকাশ ভবন থেকে সেই বক্তব্যই  স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে রাজ্যপাল এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন, এমনই অভিযোগ করলেন শিক্ষামন্ত্রী৷

পাশাপাশি উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা হওয়া নিয়ে রাজ ভবনের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেই বিবৃতি উদ্ধৃত করে তা সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করছেন ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল নিজের মর্জি মতো উপাচার্যদের নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিজের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যে আসলে স্বায়ত্বশাসিত, এবং রাজ্য সরকারের তরফেও উপাচার্যদের কার্যপ্রণালীতে হস্তক্ষেপ করা হয় না, প্রকারান্তরে সেই কথাও স্মরণ করালেন ব্রাত্য বসু।

রাজ্যের সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগকে ঘিরে নতুন করে রাজ্য বনাম রাজভবনের সংঘাত পরিস্থিতি তৈরি হয় বৃহস্পতিবার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল নিয়ম ভেঙে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যকে নিয়োগ করেছেন। অভিযোগের পাশাপশি ব্রাত্য উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে, ‘বেআইনি ভাবে’ নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যদের পদ প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধও জানান।

উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের অনুমোদনের পরেই এতদিন পর্যন্ত নয়া উপাচার্য নিযুক্ত হয়ে এসেছে রাজ্যে। কিন্তু সরাসরি উচ্চশিক্ষা দফতরকে ধোঁয়াশায় রেখে রাজ্যপালের দ্বারা সরাসরি এই  অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া যে অসাংবিধানিক তা শুক্রবার স্পষ্ট করে বলেন শিক্ষামন্ত্রী। বেতন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়তে যে জটিলতা তৈরি হতে পারে সেই আশঙ্কাও করেন শিক্ষামন্ত্রী।

রাজ্যপালের পক্ষ থেকে দেওয়া অর্ডার কপিতে মেমো নম্বর না থাকা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যারা উপাচার্য হিসেবে যোগদান করছেন তাদের পুরো প্রক্রিয়াটা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। রাজ ভবনের কার্যকলাপের জন্য আমরাও আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। আমার কাছেও এটা ধোঁয়াশা যে অর্ডার কপিতে কোনও মেমো নম্বর নেই। এটা উপাচার্যদের বুঝে নেওয়া প্রয়োজন।”

(Feed Source: news18.com)