বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজদের বাড়ি যেতে অগ্নিমিত্রা পালকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজদের বাড়ি যেতে অগ্নিমিত্রা পালকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে (Kakdwip) বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় (Balasore Train Accident) নিহত ও নিখোঁজদের বাড়ি যেতে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে (BJP MLA Agnimitra Paul) বাধা দেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূল কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে বচসা বিজেপি বিধায়কের। এক নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেই ফিরলেন তিনি।

কী ঘটল?
পথ আটকে বিক্ষোভ। রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে আটকানো হল পথ। দেওয়া হল গো-ব্যাক স্লোগান। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের। পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়ালেন বিজেপি বিধায়ক। কাকদ্বীপে বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজদের বাড়ি যেতে অগ্নিমিত্রা পালকে দফায় দফায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। করমণ্ডল এক্সুপ্রেসের যাত্রী ছিলেন স্থানীয় মধুসূদনপুরের বাসিন্দা ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিক। দুর্ঘটনায় বুদ্ধদেব বাগ, মইজুদ্দিন শেখ ও মিরাজ শেখের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ বাকি ৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক। নিহত ও নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কাকদ্বীপ বিধানসভার হারুপ পয়েন্ট কোস্টাল থানার মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিল্ল ১১ জন। সবাই পরিযায়ী শ্রমিক। ৩ জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে। বাকি ৮ জন নিখোঁজ। সকাল ১১টার সময় বিজেপি বিধাক অগ্নিমিত্রা পাল মৃত ও নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। গ্রামে ঢোকার পথে একাধিক জায়গায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী সংর্থকরা। তবে কোনও দলীয় পতাকা ছিল না। নেতৃত্বে ছিলেন কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূল নেত্রী রিনা দাস। তৃণমূল নেতৃত্ব গ্রামবাসীদের নিয়ে পথ আটকায়। রীতিমতো বচসা তৃণমূল কর্মী বিজেপি কর্মীদের হয়। গাড়ি থেকে নেমে দেড় কিলোমিটার পথ হাঁটে। আর এক জায়গায় গাছের গুড়ি ফেলে আটকানোর চেষ্টা হয়। মৃত একজনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। বুদ্ধদেব বাগ মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। অন্যদের বাড়ি যাওয়ার মুখে বাধা পান। পুলিশ আসে। পুলিশের সামনেও তৃণমূল কর্মীরা পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গেও বচসা বিজেপি বিধায়কের। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ। অগ্নিমিত্রা পাল ফিরে যান। তবে সরাসরি মন্টুরাম পাখিরা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন অগ্নিমিত্রা পাল। বলেন, ‘পাশে থাকার জন্য এসেছিলাম।’ তবে মন্টুরাম পাখিরার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা রিনা দাসের বক্তব্য, ‘এখানে ৩ জন মারা গিয়েছেন। … আমাদের বিধায়ক এসেছেন। এখানে ওঁর আসার কোনও প্রয়োজন নেই।’

(Feed Source: abplive.com)