আর্মার সিস্টেম বালাসোর দুর্ঘটনা রোধ করতে পারত, জানুন আরমার প্রযুক্তি কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?

আর্মার সিস্টেম বালাসোর দুর্ঘটনা রোধ করতে পারত, জানুন আরমার প্রযুক্তি কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?

ওড়িশার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এই বেদনাদায়ক দুর্ঘটনায় 280 জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন। একদিকে দেশে অবকাঠামোর মজবুত ভিত্তির মাধ্যমে সারা বিশ্বের বড় বড় বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার কাজ চলছে। একই সঙ্গে দেশে এত বড় দুর্ঘটনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এই বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। গত বছরই, ভারতে আর্মার সিস্টেমের পরীক্ষা করা হয়েছিল, যা ট্রেনগুলিকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে। এমতাবস্থায় এ ধরনের প্রযুক্তি থাকার পরও বড় ধরনের রেল দুর্ঘটনা ঘটার বিষয়টি বিবেচনার বিষয়। এই পর্বে আসুন জেনে নিই কাভাচ প্রযুক্তি কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?

আর্মার প্রোটেকশন সিস্টেম কি?

এটি একটি বিশেষ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা। রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশনের সহায়তায় বর্ম সুরক্ষা প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতীয় রেল ২০১২ সালেই এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করে। সেই সময়ে এই প্রযুক্তির নাম ছিল Train Collision Avoidance System (TCAS)। এই কৌশলটির প্রথম ট্রায়াল 2016 সালে করা হয়েছিল।

বর্ম প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে

কাভাচ পদ্ধতিতে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও যোগাযোগ ব্যবহার করা হয়। Kavach সিস্টেম তিনটি পরিস্থিতিতে কাজ করে – সংঘর্ষে মাথা, পিছনের প্রান্তের সংঘর্ষ, সংকেত বিপত্তি।

কাভাচ সিস্টেম প্রতিটি স্টেশনে এবং এক কিলোমিটার দূরত্বে ইনস্টল করা আছে। এ ছাড়া ট্র্যাক এবং রেলওয়ে সিস্টেমেও বর্ম প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়। এই সমস্ত সিস্টেমগুলি অতি উচ্চ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে।

ট্রেন চালানোর সময় লোকো পাইলট কোনো সিগন্যাল লাফ দিলে বা কোনো ভুল করলে। এমন পরিস্থিতিতে আর্মার সিস্টেমটি অবিলম্বে সক্রিয় হয় এবং ট্রেনের ব্রেক নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ ছাড়া একই ট্র্যাকে যদি অন্য কোনো ট্রেনও আসতে থাকে, তাহলে অন্য ট্রেনকে সতর্ক করে কিছুদূর আগেই থামিয়ে দেয়।