নতুন দিল্লি:
দিল্লিতে অফিসারদের বদলি-পোস্টিং সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অধ্যাদেশ বিজেপির বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করবেন৷ এর আগে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি সভাপতি শারদ পাওয়ার, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে সহ বেশ কয়েকজন নেতার সমর্থন চেয়েছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাথে আম আদমি পার্টির একটি প্রতিনিধি দলও এসপি প্রধানের সাথে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এই সময় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং এবং রাঘব চাড্ডাও তাঁর সঙ্গে থাকবেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধ্যাদেশ কী?
কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে ফিরিয়ে আনতে একটি অধ্যাদেশ নিয়ে এসেছে, যাতে কর্মকর্তাদের বদলির জন্য জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস অথরিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তার সিদ্ধান্তে পুলিশ, পাবলিক অর্ডার এবং জমি ছাড়া বাকি অধিকার দিল্লির নির্বাচিত সরকারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে, এই ক্ষমতাগুলি দিল্লি সরকারের কাছ থেকে কমিটির কাছে হস্তান্তর করার বিধান করা হয়েছে, যা কার্যকরভাবে কেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন কেজরিওয়াল
গত কয়েকদিন ধরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বহু বিজেপি-বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের কাছেও সমর্থন চেয়েছেন। এছাড়াও, অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেস হাইকমান্ডের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে কংগ্রেসের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদি সূত্রের বিশ্বাস করা হয়, কংগ্রেসের অনেক প্রবীণ নেতাই এএপি সরকারের বিরুদ্ধে।
(Feed Source: ndtv.com)