পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের ৭ বছর পর ফেরানো হয়েছিল কলকাতায়, ফের অন্যত্র বদলি দময়ন্তীকে

পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের ৭ বছর পর ফেরানো হয়েছিল কলকাতায়, ফের অন্যত্র বদলি দময়ন্তীকে

বদলি করা হল আইপিএস দময়ন্তী সেনকে। বিগত দশকের শুরুতে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পদে ছিলেন দময়ন্তী সেন। পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। তবে ২০১২ সালে কলকাতা পুলিশ থেকে বদলি করে দেওয়া হয় এই আইপএস অফিসারকে। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছিল তাঁকে। কলকাতা থেকে সরিয়ে ব্যারাকপুরের পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের ডিআইজি পদে স্থান হয়েছিল তাঁর। এরপর দীর্ঘ সাতবছর পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ফের কলকাতা পুলিশে ফেরানো হয়েছিল তাঁকে। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (৩) পদে আনা হয় তাঁকে। সেই বদলির আগে তিনি ছিলেন রাজ্য পুলিশের আইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) পদে। তবে ফের একবার কলকাতার বাইরে পাঠানো হল দময়ন্তীকে।

মঙ্গলবার রাজ্য সরকরারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, কলকাতার পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (২) পদ থেকে অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে দময়ন্তী সেনকে। জানা যায়, অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁর বদলি হয়েছে। রাজ্য পুলিশের এডিজি (প্রশিক্ষণ) পদে নিয়োগ করা হচ্ছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তের দায়ভার পড়েছিল দময়ন্তী সেনের ওপর। এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট যে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিল, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন এই আইপিএস অফিসার। এর আগেও একাধিক মামলায় হাই কোর্টের সিট-এ স্থান পেয়েছিলেন দময়ন্তী।

প্রসঙ্গত, লালবাজারের প্রথম গোয়েন্দা প্রধান হয়েছিলেন দময়ন্তী সেন। তবে পার্কসট্রিট কাণ্ডে সাফল্য আসার পরও তাঁর বদলি হয়েছিল ব্যারাকপুরে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। পরে সেখান থেকে দার্জিলিংয়ে ডিআইজি রেঞ্জে বদলি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে সিআইডি-র ডিআইজি পদে নিযুক্ত হন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে ফের কলকাতা পুলিশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল তাঁকে। তবে এই দফায় কলকাতা পুলিশে চার বছর কাটতে না কাটতেই ফের কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হল তাঁকে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ সালে পার্কস্ট্রিটে গণধর্ষণের ঘটনায় তদন্তের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, এটা ধর্ষণের ঘটনা নয়। পরে কলকাতা পুলিশের তৎকালীন নগরপাল আরকে পছনন্দা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন এটি ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ঘটনা নয়। তবে দময়ন্তী সেন তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যান। এরপরই তড়িঘড়ি দময়ন্তী সেনকে কলকাতা পুলিশের থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারও একাধিক ধর্ষণ ও রাজনৈতিক খুনের হাইপ্রোফাইল মামলায় যেভাবে দময়ন্তীকে হাই কোর্ট বাড়তি দায়িত্ব দিচ্ছে, তা শাসকদলের জন্য ‘অস্বস্তিকর’ বলে মনে করছেন বিরোধীরা। আর তাই ফের কম গুরুত্বপূর্ণ পদে দময়ন্তীর বদলি হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

(Feed Source: hindustantimes.com)