গরু পাচার মামলায় আরও এক রহস্যময় অ্যাকাউন্ট, আরও যা তথ্য দিল সিবিআই, চমকে যাবেন

গরু পাচার মামলায় আরও এক রহস্যময় অ্যাকাউন্ট, আরও যা তথ্য দিল সিবিআই, চমকে যাবেন

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় আরও এক অ্যাকাউন্টের লেনদেন ঘিরে রহস্য। সিবিআই সূত্রে খবর, আরও এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি তিহারে গিয়ে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী তথা অন্যতম অভিযুক্ত সহেগল হোসেনকে জেরা করেছে সিবিআই। বেশ কিছু তথ্য হাতে পেতেই ফের বোলপুরে গিয়ে দু-একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী বিদ্যুৎবরণ গায়েনকে। সেই সূত্র ধরে আরও বেশ কিছু সম্পত্তির পাশাপাশি একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই অ্যাকাউন্টটি সহেগল হোসেনের মায়ের নামে খোলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রায় দেড় কোটি টাকার হাতবদল হয়েছে অর্থাৎ পাচারের টাকা লেনদেন হয়েছে।

প্রসঙ্গত ইডির দেওয়া সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এহেন একাধিক অ্যাকাউন্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ইডির দাবি ছিল, ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কৌশল নিয়েছিলেন অনুব্রত। আয়কর দফতরের নজর এড়াতে নিয়েছিলেন পরিকল্পনা, চার্জিশিটে দাবি ইডির।  দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে দেওয়া গরু পাচার মামলার  সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে অনুব্রত, তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, তাঁদের হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারি এবং সহেগল প্রত্যেকেই পরিকল্পনা করে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা সরিয়েছেন। শুধু তাই নয়, জমা কর্তার পরিচয় গোপন রাখতেও পরিকল্পনা নিয়েছিলেন অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে। ক্যাশ ডিপোজিট মেশিনের মাধ্যমে টাকা জমা করা হয়। তাতে কোনও ব্যক্তিকে ব্যাঙ্কে যেতে হত না। এমন কী বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী থেকে অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক থেকে চালক, বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অ্যাকাউন্ট খোলার তথ্য আগেই সামনে এসেছিল। এমনকী সহেগলের পরিবারের সদস্যদের নামে কেনা সম্পত্তি থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্ট… সব তদন্তে উঠে আসে। এবার আরও একটি নতুন অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলল যা সহেগলের পরিবারের এক সদস্যের নামে।

(Feed Source: news18.com)