দুয়ারে ‘বিপর্যয়’, প্রস্তুতি পর্যাপ্ত কিনা দেখতে উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

দুয়ারে ‘বিপর্যয়’, প্রস্তুতি পর্যাপ্ত কিনা দেখতে উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

কলকাতা: শক্তি বাড়িয়ে ‘অতি বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড়ের’ (Extremely Severe Cyclonic Storm) চেহারা নেওয়ার তোড়জোড় প্রায় শেষ ‘বিপর্যয়’-র (Biparjoy)। তার প্রভাবে এর মধ্যেই তুমুল জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে মুম্বইয়ের কোলাবার সৈকতে। আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলাতে ঠিক কতটা প্রস্তুত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি? কতটা তৈরি রয়েছে গুজরাত প্রশাসন? খতিয়ে দেখতে সোমবার উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। পাশাপাশি, পশ্চিম রেলের সিপিআরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৬৭টি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে।

কী জানা গেল?
যে এলাকাগুলিতে সাইক্লোন আছড়ে পড়তে পারে, সেখানে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ৬৭টি ট্রেন বাতিল করেছে পশ্চিম রেল। পাশাপাশি ওই সব এলাকাগুলির জন্য আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে রেল। অন্য দিকে, গুজরাতের উপকূল বরাবর সমুদ্রপথে প্যাট্রলিং শুরু করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষীবাহিনী। মৎস্য়জীবীদের সতর্ক করা হয়েছে এর মধ্যেই। যাঁরা মাছ ধরতে আগেই সমুদ্রে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফেরানোর তোড়জোড় তুঙ্গে। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই গুজরাতের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করে ভারতের আবহাওয়া দফতর।

আজ কী হল?
সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, ‘বিপর্যয়’-র অভিঘাত আছড়ে পড়তে পারে এমন এলাকা থেকে সমস্ত বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য় ও পানীয় জলের মতো জরুরি পরিষেবা যাতে ধাক্কা না খায়, সে মর্মেও আমলাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ‘বিপর্যয়’-র অভিঘাতে যে সব এলাকাগুলিতে এই জরুরি পরিষেবা ধাক্কা খাবে, তা যেন দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা করা হয় সেই মর্মেও বার্তা দিয়েছেন মোদি। পাশাপাশি এদিন ‘ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির’ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। পরে জানান, এক জনেরও যাতে প্রাণহানি না হয় ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে সবচেয়ে কম থাকে, সেটিই মূল লক্ষ্য প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫টি দল ও গুজরাতের কয়েকটি জেলায় ৪টি দল মোতায়েন করা হয়েছে, খবর ANI-র। গুজরাত উপকূলের দেবভূমি দ্বারকা থেকে ১৩০০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়েও নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।আবহবিদদের যা পূর্বাভাস, তাতে গুজরাতের মান্ডভি ও পাকিস্তানের করাচির মাঝামাঝি অংশ দিয়ে, সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের উপর হয়ে বয়ে যাবে ‘বিপর্যয়’। ১৫ জুন দুপুরের মধ্যে তার চরম অভিঘাত শেষ হওয়ার কথা।  কিন্তু সেই অভিঘাতে কী হবে? দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের উপকূলের বাসিন্দাদের একাংশের।

(Feed Source: abplive.com)