চাকরি খুইয়েও আয় ৯ লক্ষ! আলোচনার কেন্দ্রে এখন ’এই’ যুবক

চাকরি খুইয়েও আয় ৯ লক্ষ! আলোচনার কেন্দ্রে এখন ’এই’ যুবক

করোনা অতিমারীর দাপটে এক সময় লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল সারা বিশ্ব। শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি এই অতিমারী প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতিকেও। সেই করাল গ্রাস থেকে বাদ যায়নি ভারতবর্ষও।

করোনা অতিমারী সারা বিশ্বের জন্য অভিশাপের মতো দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এই করোনাও অনেকের কাছে আবার আশীর্বাদের মতো রূপে দেখা দিয়েছে। যেমন ধরা যায় বিহারের বাসিন্দা পঙ্কজের কথা।

বিহারের হাজিপুরের দয়ালপুর গ্রামের বাসিন্দা পঙ্কজও মনে করেন, এই করোনা অতিমারীই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। আসলে পঙ্কজ একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি করোনার আগে কাজ করতেন কর্পোরেট সংস্থায়। কিন্তু করোনার ভয়াল গ্রাসে সেই চাকরি হারাতে হয় তাঁকে। বিধ্বস্ত পঙ্কজ যখন বাড়ি ফিরে আসেন, তখন তাঁর কিছুই করার ছিল না।

কিন্তু জীবনের জন্য তো অর্থের প্রয়োজন। তাই অনেক ভেবে তিনি মাছ ধরতে শুরু করলেন। সেই মাছ ধরার কাজই আজ তাঁকে ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের পথ করে দিয়েছে। পঙ্কজ জানান, তবে শুধু মাছ ধরেই তো সব হয় না। মানসিক প্রশান্তির বিষয়টিও রয়েছে। তাই তিনি ছোটদের টিউশন দেন। অনলাইন ক্লাসে বাচ্চাদের পড়ান। সেজন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিকও পান।

পঙ্কজ বায়োফ্লক পদ্ধতিতে বাড়িতে বসে মাছ চাষ করছেন। এই জন্য নিজের বাড়িতে ১০টি ট্যাঙ্ক তৈরি করেছেন। প্রতিটি ট্যাঙ্ক থেকে মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা আয় করা যায়। এখন পঙ্কজ বাড়ির গণ্ডী ছাড়িয়ে সারা রাজ্যের অনেক জেলায় ব্যবসা ছড়িয়ে দিয়েছেন। মোট ৪৫টি ট্যাঙ্ক রয়েছে এখন তাঁর। মাসে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা আয় করতে পারছেন তিনি।

পঙ্কজের দাবি, তিনি কোনও রকম সরকারি সাহায্য ছাড়াই এই ব্যবসা করছেন। প্রায় ছ’রকম জাতের মাছ চাষ করেন তিনি।

পঙ্কজ জানান, করোনার সময় চাকরি হারিয়ে বিহারে ফিরে আসেন তিনি। সেখানেই শুরু হয় মাছের ব্যবসা। প্রাথমিক ভাবে ১০টি ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আস্তে আস্তে দেখলাম চাকরির চেয়ে বেশি আয় হচ্ছে। পরিশ্রমও কম। এক একটি ট্যাঙ্ক থেকে কমবেশি ২০ হাজার টাকা আয় করা যায় মাসে।’

পঙ্কজ এখন গোটা জেলায় স্বনির্ভরতার দৃষ্টান্ত।

(Feed Source: news18.com)