পান-সুপারির আয়! স্বামীর জমিতেই নিজের উপার্জনের রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন জয়ন্তী

পান-সুপারির আয়! স্বামীর জমিতেই নিজের উপার্জনের রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন জয়ন্তী

ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। এমন একটা প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে। আর সেই প্রবাদকেই সত্যি করে দেখিয়ে দিয়েছেন কর্নাটকের সাধারণ এক মহিলা।

তাঁর বাগান জুড়ে পান পাতার সবুজ রঙ ছড়িয়ে থাকে। একটার পর একটা পাতা তুলে, সাজিয়ে নিয়ে বাজারে দিয়ে আসেন গৃহস্থ নারী। স্বামীর চাষ করা জমির মাঝখানে নিজের মতো করেই গড়ে ফেলেন একটু বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা। নিয়মিত চাষের পাশাপাশি এই বিকল্প চাষ থেকে যে ভাল আয় করা যেতে পারে, তা দেখিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ কন্নড় জেলার বাসিন্দা জয়ন্তী রাই।

কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার কর্নুর, মুডনুর গ্রামের, নেত্তানিগে, পুত্তুর তালুকের বাসিন্দা জয়ন্তী। তাঁর স্বামী একজন প্রগতিশীল কৃষক, সতীশ কারনুর। তিনি তাঁর জমিতে চাষ করেন, যেমন বাদাম, নারকেল, কোকো, পেয়ারা প্রভৃতি। অনেক সময় তাঁর বাগানে সুপারি চাষও করেন।

চাষের কাজে স্বামীকে সাহায্য করেন জয়ন্তী। পাশাপাশি তিনি নিজেও শুরু করেছেন চাষ। জয়ন্তী বিভিন্ন গাছে শত শত পানপাতার লতা জড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সব পানপাতা সবুজ করে রেখেছে গোটা বাগানটা। ফলনও ভাল। ফলে এখন প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চার হাজার টাকা আয় করতে পারছেন জয়ন্তী নিজে।

উপকূলীয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে বিবাহ-সহ সমস্ত শুভ অনুষ্ঠানের জন্য পানের প্রয়োজন হয়। আবার অনেকেই প্রতিদিন পানপাতা খান শখ করে। সেই কারণেই বাজারে ভাল চাহিদা রয়েছে সুপারিরও। ফলে জয়ন্তীর বাগানের ফসল ভালই বিক্রি হয়।

এই সুপারি বিক্রির অর্থ জয়ন্তী রাই খরচ করেন তাঁর সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য। অন্য সব ফসলের মতো, পানের লতাগুলিকে খুব আদরে প্রতিপালন করেন তাঁরা। প্রতিদিন জল দিয়ে এবং সময়ে সময়ে সার দিয়ে রক্ষা করা হয় গাছ। জয়ন্তীর কাজে সময়ে সময়ে সাহায্য করে তাঁর শিশু সন্তানরাও।

জয়ন্তীর বাগানে উৎপাদিত সুপারি যেমন পুত্তুর ও আশেপাশের এলাকার দোকানে বিক্রি হয়, তেমনই স্থানীয় বাসিন্দারাও সুপারি কিনতে আসেন জয়ন্তীর বাড়িতে।

জয়ন্তী জানান, তাঁর স্বামী এই কাজে নানা ভাবে তাঁকে সহযোগিতা করেন। বিশেষত কখন কোন সার দিতে হবে, কী ভাবে গাছের পরিচর্যা করতে হবে, ইত্যাদি বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন। কিন্তু পান-সুপারি বিক্রির টাকা সবটাই তোলা থাকে স্ত্রী আর সন্তানদের জন্য।

(Feed Source: news18.com)