অসহ্য পচা গন্ধে মরা ইঁদুরের খোঁজ করেছিল লোকেরা, যা সামনে এল……বীভৎস!

অসহ্য পচা গন্ধে মরা ইঁদুরের খোঁজ করেছিল লোকেরা, যা সামনে এল……বীভৎস!

মুম্বই: যার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে পাড়ার কুকুরদের খাইয়েছে, সেই মেয়েটি নাকি ছিলেন তাঁর মেয়ের মতো৷ মহারাষ্ট্রের হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজ রমেশ সেন নাকি এমনই দাবি করেছে পুলিশের কাছে৷ শুধু তাই নয়, মনোজ নাকি নিহত সরস্বতী বৈদ্যকে অঙ্কও শেখাতেন৷ মনোজের দাবি, নিজে HIV পজিটিভ হওয়ায় সেই ২০০৮ সাল থেকেই নাকি কোনও রকম শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হননি তিনি৷

গত বুধবার মহারাষ্ট্রের মীরা রোড হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে৷ মুম্বইয়ের গীতা নগর এলাকার একটি ফ্ল্যাটবাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরচ্ছিল৷ ক্রমেই তা অসহ্য হয়ে ওঠে ফ্ল্যাটবাসীর কাছে৷ ছাদে, কমন স্পেসে, মরা পচা ইঁদুরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা৷ প্রতিটা ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদেরও জানানো হয় বিষয়টা৷ সবচেয়ে বেশিগন্ধ আসছিল মনোজের ফ্ল্যাট থেকে৷ কিন্তু, ওই ফ্ল্যাটের কাছাকাছি কেউ গেলেই এয়ার ফ্রেশনারের গন্ধ ভেসে আসছিল৷

সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে ফোন করেন ফ্লাটের বাসিন্দারা৷ মনোজের ফ্ল্যাটে চড়াও হতেই সে পালানোর চেষ্টা করে৷ যদিও তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ৷ ২০১৫ থেকেই নিহত সরস্বতী ও মনোজ একসঙ্গে এই ফ্ল্যাটে থাকত৷

প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, বছর বত্রিশের সরস্বতী বৈদ্যকে খুন করে তার দেহ করাত দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করেছিল বছর বাহান্নর মনোজ৷ তারপরে সেগুলো প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে কুকুরদের খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের উপরে৷ মনোজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে সরস্বতীর শরীরের পায়ের অংশ৷ মিলেছে রক্ত ভর্তি একটি বালতিও৷ উদ্ধার হয়েছে করাত৷

কিন্তু, সমস্ত তথ্যপ্রমাণ তাঁর বিপরীতে গেলেও খুনের কথা মানতে নারাজ মনোজ৷ তাঁর দাবি, সরস্বতী নিজেই নাকি আত্মঘাতী হয়েছিলেন৷ তিনিই ওঁর দেহ ফ্ল্যাটের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন৷ কিন্তু, এরপরে তাঁর উপরেই সব দোষ এসে পড়বে এই আশঙ্কা থেকেই সরস্বতীর দেহ টুকরো করার পরিকল্পনা নেন৷

মনোজ জানিয়েছে, সরস্বতী নাকি তাঁর মেয়ের মতো ছিলেন৷ কিন্তু, বরাবরই তাঁকে সন্দেহ করত সে৷ সম্প্রতি দশমের এসএসসি পরীক্ষাও দেবে ভেবেছিল সরস্বতী৷ সেই জন্য নাকি সরস্বতী অঙ্ক করাতেন মনোজ৷ তার ফ্ল্যাটে একটি অঙ্কের সমীকরণ লেখা বোর্ডও উদ্ধার হয়েছে৷

২০১৪ সালে মুম্বইয়ের বরিভলির একটি রেশনের দোকানে আলাপ হয় মনোজ ও সরস্বতীর৷ সেই সময় ওই রেশনের দোকানে কাজ করতেন মনোজ৷ ২০১৫ থেকে তারা গীতানগরের একটি ফ্ল্যাটে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে৷ প্রতিবেশীদের নাকি সরস্বতী বলেছিল, মনোজ তার কাকা হয়৷

মনোজেরও দাবি, ২০০৮ সাল থেকে সে HIV পজিটিভ৷ একটি দুর্ঘটনার পরে তাঁকে রক্ত দেওয়ার পর থেকেই তার শরীরে এই মারণভাইরাস দানা বাঁধে৷ তার পর থেকে নাকি সে কোনও শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়নি৷

এখন কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল, তা পরিষ্কার হবে তদন্তে৷ ইতিমধ্যেই মনোজের ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে পাওয়া সরস্বতীর দেহাংশ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে৷ চলছে জিজ্ঞাসাবাদ৷

(Feed Source: news18.com)