সীমা কুমারী
নতুন দিল্লি: সনাতন ধর্মে পূজার গুরুত্ব অনেক। ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক মানুষই নিজের মতো করে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে। কেউ মন্দিরে যান আবার কেউ বাড়িতে পুজো করেন পূর্ণ আচারের সঙ্গে। এছাড়া পূজার সময় মাথা ঢেকে রাখার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তারপর সেটা নারী হোক বা পুরুষ। ধর্মীয় স্থানে উভয়কেই মাথা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। মাথা ঢেকে রাখার প্রথা বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। যা এখনও ভারতীয় সমাজে প্রচলিত রয়েছে। আসুন জেনে নেই আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক কারণগুলো।
ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, ধর্মীয় স্থানগুলিতে মাথা ঢেকে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করা হয় কারণ ধর্মীয় স্থানগুলিকে সবচেয়ে পবিত্র বলে মনে করা হয়। এছাড়াও ঈশ্বরের প্রতি আমাদের সম্মান দেখানোর এটি একটি ভাল উপায়। মাথা ঢেকে রাখার আরেকটি কারণ হল, মাথায় কিছু না থাকলে পূজার সামগ্রীতে চুল পড়তে পারে। এতে ইবাদতের জিনিসগুলো অপবিত্র হয়ে যায়। এবং অশুদ্ধ উপাসনা উপকরণ কখনও প্রভুর কাছে নিবেদন করা হয় না। নইলে পূজার ফল পাবেন না।
কথিত আছে, মাথা ঢেকে পুজো করার সময় মন এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়ায় না। চুলে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করারও একটি কারণ রয়েছে। নেতিবাচক শক্তি থেকে রক্ষা পেতে মাথা ঢেকে রাখাও প্রয়োজন। এই ঐতিহ্য বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। এ সকল কারণে মাথা ঢেকে রাখা আবশ্যক বলা হয়েছে।
সনাতন ধর্মে আচারের ধর্মীয় কারণ ছাড়াও বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। একইভাবে ধর্মীয় স্থানে মাথা ঢেকে রাখার বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। বিজ্ঞানের মতে, আকাশের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ খোলা মাথায় প্রবেশ করতে পারে। এ কারণে একজন ব্যক্তিকে রাগ, মাথাব্যথা, চোখে কষ্টের মতো নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুলেও রয়েছে চৌম্বক শক্তি। এমন পরিস্থিতিতে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু সহজেই এর সংস্পর্শে আসে। মাথা ঢেকে রাখলে এসব জীবাণু থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। ধর্মীয় স্থানে প্রায়ই ভিড় দেখা যায়। এমতাবস্থায় এসব সমস্যা এড়াতে মাথা ঢেকে রাখা দরকার।
(Feed Source: enavabharat.com)