মাধ্যমিকে প্রথম অর্ণব NEET পরীক্ষায় দেশের মধ্যে ১৯, ফাঁস করলেন রেজাল্টের রহস্য

মাধ্যমিকে প্রথম অর্ণব NEET পরীক্ষায় দেশের মধ্যে ১৯, ফাঁস করলেন রেজাল্টের রহস্য

বাঁকুড়া: NEET পরীক্ষায় দেশের মধ্যে ১৯ তম স্থান অধিকার করে তাক লাগালেন বাঁকুড়ার সিমলাপালের সিমলাপাল মদনমোহন হাই স্কুলের কৃতি ছাত্র অর্ণব পতি। এর আগে মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম, উচ্চমাধ্যমিকে সপ্তম, NTSE পরীক্ষায় প্রথম, KVPY পরীক্ষায় ৭৮ এবং সাম্প্রতিক সর্বভারতীয় মেডিকেল এন্ট্রান্স অর্থাৎ NEET( ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম ইনট্রান্স টেস্ট) পরীক্ষায় ১৯ র‍্যাঙ্ক করলেন বাঁকুড়ার অর্ণব।

মেধা তালিকায় উপরের দিকে জায়গা করে নেওয়া এক প্রকার অভ্যাসে পরিণত করেছে বাঁকুড়ার অর্ণব পতি। অর্নবের বাবা চঞ্চল কুমার পতি পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং মা রুম্পা পতি সরকারি নার্স। অর্নবের কৃতির সাফল্যেগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ NEET এর সাফল্য, এমনটাই মনে করছেন অন্য প্রতি বাবা চঞ্চল কুমার পতি।

কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন অর্ণবের বাবা তাই দাদু- ঠাকুমার কাছেই প্রায় ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন অর্ণব। দাদু চিত্তরঞ্জন পতির অনুপ্রেরণায় ডাক্তার হওয়ার সিদ্ধান্ত বেছে নেন অর্ণব। ২০১৬ সালে ছেলের পড়াশোনার জন্য সিমলাপাল ফিরে আসেন অর্ণবের বাবা।

তারপর বাবা ছেলে মিলে তৈরি করেন একটি রুটিন। অর্ণবের মতে রাত জেগে পড়াশোনা করলে শরীরের ক্ষতি হয়, তাই দিন শুরু করতে হবে তাড়াতাড়ি এবং ঘুমিয়ে পড়তে হবে তাড়াতাড়ি। প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হত অর্ণবের প্রস্তুতি, প্রায় সাত থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টার পড়াশোনা করতেন তিনি। রাত দশটা বাজলেই ঘুমিয়ে পড়তেন অর্ণব। এইভাবে একই রুটিন প্রতিদিন বজায় রেখে পড়াশোনা করেছেন তিনি।

অর্ণবের বাবা জানান প্রায় বেশির ভাগটাই অর্ণব নিজে নিজেই করত অনলাইন থেকে, সেরকম টিউশন ছিল না। নিজের ফোন না থাকায় ল্যাপটপে অনলাইন ক্লাস করত অর্ণব। ডিসিপ্লিন থেকে এবং নিয়ম মেনে প্রতিদিন পড়াশোনা করেছে, তাই এই সফলতা। বাঁকুড়ার মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করলেন অর্ণব পতি। সর্বভারতীয় মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় গোটা ভারতবর্ষের কাছে বাঁকুড়ার মুখ উজ্জ্বল করলেন তিনি।

(Feed Source: news18.com)