করোনাকালের একগুচ্ছ নির্দেশিকা ‘অসাংবিধানিক’, হাইকোর্টে ‘জয়’ বেসরকারি হাসপাতালের

করোনাকালের একগুচ্ছ নির্দেশিকা ‘অসাংবিধানিক’, হাইকোর্টে ‘জয়’ বেসরকারি হাসপাতালের

করোনাভাইরাস মহামারীর সময় রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন যে সব নির্দেশিকা জারি করেছিল, তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর সময় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে দফায়-দফায় কমিশন যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, তাতে কোনওরকম স্পষ্টতা নেই। বিষয়টি অসাংবিধানিক। যে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তা মানতে কোনও প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করা যাবে না বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। যদিও কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করা হবে। চলবে আইনি লড়াই।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারী আছড়ে পড়ার পর একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি, ডায়াগনাস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রচুর টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মওকা বুঝে চড়া দাম হাঁকছিল বলে দাবি করেছিলেন অনেকে। তারইমধ্যে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ, হাসপাতালের বেডের ভাড়া, টেস্টিংয়ের খরচের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা বা অ্যাডভাইসরি জারি করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ১৪ মাসে ২৬ টি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।

সেইসব নির্দেশিকার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল ইএম বাইপাস (ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস) লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতাল। সেই মামলার রায়ে বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, অসাংবিধানিক কাজ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। কারণ কমিশনের সেই অ্যাডভাইসরি জারি করার এক্তিয়ার নেই (সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, রাজ্যের কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, সেজন্য কমিশনের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে)। সেই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ওই ২৬টি নির্দেশিকা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। অর্থাৎ আপাতত জয় হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালের।

বিষয়টি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়া হবে। তবে কবে ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা দায়ের করা হবে, তা নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

(Feed Source: hindustantimes.com)