থাকবে না টাকার চিন্তা!এই বর্ষায় ভুট্টা আর হলুদ চাষ করে ঘরে আনতে পারেন বিপুল টাকা

থাকবে না টাকার চিন্তা!এই বর্ষায় ভুট্টা আর হলুদ চাষ করে ঘরে আনতে পারেন বিপুল টাকা

সারা দেশেই বর্ষা ঢুকতে দেরি করেছে। আপাতত বর্ষা ঢুকলেও তা দেশের বহু অংশে বেশ ক্ষীণ। উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রভাব তীব্র হলেও দক্ষিণবঙ্গে তেমন দেখা যাচ্ছে না। একই অবস্থা বিহারেও। এখানে এখনও বর্ষার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। ফলে গরম আর আর্দ্রতার কারণে মানুষের সমস্যা বাড়ছে। তীব্র গরমের দাপটে হাঁসফাঁস দশা। সমস্যা হচ্ছে চাষবাসের ক্ষেত্রেও।

তবে বর্ষা নিয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা ডা. রাজেন্দ্র প্রসাদ কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পুসা এবং ভারত মৌসম বিজ্ঞান বিভাগের পূর্বাভাস, ১৭ থেকে ২১ জুন, ২০২৩ তারিখের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বিহারের সমস্ত অংশে। আসলে গত ১২ জুন, ২০২৩ তারিখে বর্ষা ঢুকেছে বিহারে। তবে তা শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব বিহারের কিছু অংশে সীমাবদ্ধ ছিল। ১২ জুনের পরে বর্ষা তেমন অগ্রসর হয়নি। ফলে অন্যান্য অংশে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাই আবহাওয়াবিদদের আশা, ১৮ জুনের পর থেকে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বর্ষা অগ্রসর হতে পারে। আর সেই কারণে খরিফ ফসল চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের কিছু নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।

ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পূর্বাভাস:
এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের কোনও কোনও অংশে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। তবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৭ ডিগ্রি থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করতে পারে। সকালবেলার আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৬৫-৭৫%। আর বিকেলের দিকে এই পরিমাণ ৩৫-৪৫% হতে পারে। এই সময় প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৪ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে বলে আশা।

কৃষকদের জন্য এল এই নির্দেশিকা:
এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়াবিদ গুলাব সিং কৃষকদের জন্য কিছু নির্দেশিকাও জারি করেছেন। তিনি বলেন যে, যাঁরা খরিফ ভুট্টা চাষ করতে চান, তাঁরা দেবকী, শক্তিমান ১, শক্তিমান ২, রাজেন্দ্র হাইব্রিড ভুট্টা ৩, গঙ্গা ১১ প্রজাতির ভুট্টা বুনতে পারেন। বীজের হার প্রতি হেক্টরে ২০ কিলোগ্রাম রাখতে হবে। তবে ফসলের কীটপতঙ্গ পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির উপর নজরদারি চালাতে হবে। ঠিক একই ভাবে রাজেন্দ্র সোনিয়া, রাজেন্দ্র সোনালির মতো প্রজাতির হলুদ বপন করা যেতে পারে।

(Feed Source: news18.com)