ত্রিপুরাঃ আচমকা দুই ‘নাগরিকের’ বাড়িতে জেপি নাড্ডা! লোকসভার আগে এ কোন চমক বিজেপির?

ত্রিপুরাঃ আচমকা দুই ‘নাগরিকের’ বাড়িতে জেপি নাড্ডা! লোকসভার আগে এ কোন চমক বিজেপির?

আগরতলা : ‘সম্পর্ক সে সমর্থন’ এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জে. পি. নাড্ডা তাঁর ত্রিপুরা সফরের  কর্মসূচীর সূচনা করেন। এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে তিনি রাজ্যের বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী তিথি দেববর্মন এবং জাতীয় জিমনাস্ট কোচ বিশেশ্বর নন্দীর বাড়িতে যান। তাদের দুজনের হাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র ৯ বছরের সমস্ত উন্নয়ন মূলক কাজ সম্বলিত একটি করে বই তুলে দেন ও তাদের উভয়ের সঙ্গেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

এই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রা, ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এই কর্মসূচী শেষে হেলিকপ্টারে তাঁরা চলে যান দক্ষিণ জেলার  শান্তিরবাজার এলাকায়।

রাজনৈতিক মহলের মতে, মণিপুরের ঘটনায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি শিবির৷ আগামী বছর লোকসভা ভোট। এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। তাদের নজরে রয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতের একাধিক লোকসভা আসন। ত্রিপুরায় সদ্যই দ্বিতীয়বার তাদের সরকার গঠিত হয়েছে। এই অবস্থায় এই রাজ্যকে পাখির চোখ ধরে এগোতে চাইছে তারা। কারণ তিপ্রামোথা, বাম, কংগ্রেস শিবিরও তাদের লড়াই শুরু করেছে ত্রিপুরায়।

এই অবস্থায় নাড্ডার এই কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে এখন থেকে দলকে প্রচারে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে। জে পি নাড্ডা জানিয়েছেন, এখন ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি থেকে সরিয়ে উন্নয়ন ও রিপোর্টকার্ডের শিবিরে এসেছে দেশ। তাই নরেন্দ্র মোদির আসার সঙ্গে সঙ্গে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে কাজের ধারা পরিবর্তন এনেছেন। আগে দৈনিক গড়ে ১২কিমি জাতীয় সড়ক তৈরি হত, এখন গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৯কিমি জাতীয় সড়ক তৈরি হচ্ছে, তাই গত ৯ বছরে দেশে ৫৪ হাজার কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

ত্রিপুরায় গত ৬বছরে তিনশ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এই সময় মোট ৬টি জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে রাজ্যে। একই ভাবে দেশে নতুন করে ৩৭হাজার কিমি রেললাইনকে বৈদ্যুতি করণ করা হয়েছে। আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথ ভারত সরকারের টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে। এই রেলপথ দিয়ে খুব দ্রুত ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যাওয়ার সম্ভব হবে।

স্বাধীনতা সত্তর বছরে সারা ভারতের ৭০টি বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নয় বছরের দেশে ৭৪টি নতুন বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন ছয়টি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে উত্তর পূর্বাঞ্চলে। একই ভাবে গ্রামীন এলাকা গুলি থেকে জানতে শহরে সহজেই যোগাযোগ করা যায় তার জন্য নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

(Feed Source: news18.com)