জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার কোনও না কোনও সংঘাতের কারণে ঘর ছাড়াতে বাধ্য হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। কখনও তা আফগানিস্তানের লড়া, কখনওবা আফ্রিকার কোনও কোনও দেশের গৃহযুদ্ধ। ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের কথা মাথায় রেখেই প্রতি বছর ২০ জুন পালন করা হয় বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস। উদ্বাস্তুদের অধিকার, তাঁদের চাহিদা, তাদের উপরে নিপীড়ন, অত্যাচার ও দুর্দশার কাহিনি মনে কার হয় এই দিনে।
২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ‘বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস’ শুরু হয়। জাতিসংঘের সাধারণ সভায় দিনটি অনুমোদিত হয়। ১৯৩৯-১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধের সময় উদ্বাস্তুদের সংখ্যা গোটা বিশ্ব ক্রমে বেড়েই গিয়েছিল। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কারণে প্রচুর মানুষ ঘরছাড়াও হয়েছিলেন সেই সময়।
বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবসের অপরিসীম তাৎপর্য রয়েছে, কারণ এটি তাদের উদ্বাস্তু এবং বাড়ি ছাড়ার দুর্দশা বিশ্বে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ‘বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবসের’ লক্ষ্য হল আরও সহানুভূতিশীল বিশ্ব গড়ে তোলা, যা তাঁদের জাতীয়তা বা পটভূমি নির্বিশেষে সকল ব্যক্তির মর্যাদা আরও উন্নত করা।
‘বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস’ বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় যা উদ্বাস্তুদের জন্য সচেতনতা, সংহতি এবং সমর্থন প্রচার করে। এই উদযাপনের মধ্যে রয়েছে প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, প্যানেল আলোচনা, অ্যাডভোকেসি প্রচারাভিযান এবং সম্প্রদায়ের উদ্যোগ। উদ্দেশ্য হল উদ্বাস্তু এবং বাস্তু ছাড়া ব্যক্তিদের দ্বারা তাঁদের সমাজে অবদানকে সম্মান করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় বোঝাপড়া, সহানুভূতি এবং পদক্ষেপ যাতে নিতে পারে।
(Feed Source: zeenews.com)