জেলা প্রতি ১ কোম্পানি ! সেক্ষেত্রে একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের দায়িত্বে থাকবে ক’টি বুথ ?

জেলা প্রতি ১ কোম্পানি ! সেক্ষেত্রে একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের দায়িত্বে থাকবে ক’টি বুথ ?

কলকাতা : সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) ধাক্কা খেয়েও নতুন কৌশল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ! জানা যাচ্ছে, প্রতি জেলায় মাত্র ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর চাইছে কমিশন (State Election Commission) ! কেন্দ্রের কাছে নাকি তেমনটাই আবেদন করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তেমনটাই যদি হয়, তাহলে মাত্র একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকতে পারে ২৮ টি বুথ !

সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের যার বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে যে রায় বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও। আর এই প্রেক্ষিতেই শোনা যাচ্ছে, প্রতি জেলায় মাত্র ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিদ্ধান্ত কমিশনের ! পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি রাজ্যের বিশেষ বাহিনী ব্যবহার করা হবে ভোটে। যদিও জেলা প্রতি এক কোম্পানি বাহিনী চাওয়াকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) নামে প্রহসন বলেই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল।

১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের সংখ্যা থাকে ৮০ থেকে ১০০ জন। ধরে নেওয়া যাক, ১০০ জন জওয়ান থাকবেন প্রত্যেক কোম্পানিতে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান নিযুক্ত হবেন। এদিকে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে মোট ৬১ হাজার বুথে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বুথ সংখ্যা স্বাভাবিক কারণেই ভিন্ন।

কিন্তু গোটা বাংলার বিচার ধরলে, কমিশন যদি জেলা প্রতি এক কোম্পানি বাহিনী চায়, তাহলে ৬১ হাজার বুথ সামলানোর দায়িত্ব গিয়ে পড়বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২২০০ জন জওয়ানের ওপর ! সেই হিসাব ধরলে প্রায় ২৮ টি বুথ সামলানোর দায়িত্ব পড়বে একজন জওয়ানের ওপর ! আর যে সমস্ত জেলার ক্ষেত্রে বুথের সংখ্যা বেশি, সেখানের ক্ষেত্রে একজন জওয়ানের দায়িত্বে থাকবে ২৮-টিরও বেশি বুথ ! সোজা যে হিসেব দেখেই প্রহসন বলে বিষয়টা কটাক্ষ করছে বিভিন্ন মহল।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর তীব্র কটাক্ষ, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন ছ্যাবলামি করছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথামতো রাজ্য নির্বাচন কমিশন এইসব ছ্যাবলামি করছে।’ রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশকর্তা সলিল চৌধুরীও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যে পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনার রাজীব সিনহার ভূমিকার তীব্র কটাক্ষও করেছেন তিনি। পাশাপাশি সকলেই প্রশ্ন তুলছেন, জেলা প্রতি মাত্র এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) হবে রাজ্যে ?

(Feed Source: abplive.com)