মালদায় বাজ পড়ে সাতজনের মৃত্যু, উত্তরবঙ্গে জারি হল লাল সতর্কতা, অঝোরে বৃষ্টি

মালদায় বাজ পড়ে সাতজনের মৃত্যু, উত্তরবঙ্গে জারি হল লাল সতর্কতা, অঝোরে বৃষ্টি

দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝেমধ্য়ে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে টানা বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ। তার সঙ্গেই মাঝেমধ্য়েই বজ্রপাত। বুধবারও উত্তরের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। অন্যদিকে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মালদায় বাজ পড়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্য়ে একের পর এক বজ্রপাত শুরু হয়।

সূত্রের খবর, কালিয়াচক ২ ব্লকের বাবলা এলাকায় আম কুড়োতে গিয়ে বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুরানো মালদার মুচি এলাকায় বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলে সাতজন পড়ুয়া আহত হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ২১ ও ২২ জুন উত্তরবঙ্গে রেড অ্য়ালার্ট জারি করেছি। এই যে ভারী বৃষ্টি এটা চলতে থাকবে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে লাল সতর্কতা থাকবে। সাত দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। নদীতে জলস্তর বাড়ছে। নীচু জায়গায় জল উঠে যাচ্ছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। ২২ জুনের পর থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির প্রাবল্য কমবে। অন্য়দিকে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে যেরকম চলছে সেরকমই চলবে। তবে ২২-২৩ জুন একটু বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা একটু কমবে। পুরুলিয়াতে ২৩ তারিখ নাগাদ বর্ষা ঢুকে যাবে। তবে উত্তরবঙ্গে খুব সক্রিয় এবারের বর্ষা।

এদিকে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একেবারে অঝোরে বৃষ্টি। তিস্তা, তোর্ষা, জলঢাকা সহ একাধিক নদীতে জল ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। জল উঠে যাচ্ছে নীচু জায়গায়। নদী পাড়ের বাসিন্দাদের রাতের ঘুম উড়ে যাচ্ছে ক্রমশ। ইতিমধ্য়েই জেলা প্রশাসন এনিয়ে সতর্ক রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় স্পিড বোড, অস্থায়ী ত্রাণশিবির, ফ্লাড সেল্টারকে তৈরি রাখা হচ্ছে। বড় কোনও বিপর্যয় যাতে না হয় সেটা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

এদিকে আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্য়েই সতর্ক করেছে কাল অর্থাৎ ২২ জুন ভারী বৃষ্টি চলতে থাকবে উত্তরবঙ্গে।

এদিকে ভারী বৃষ্টি মানেই পাহাড়ে ধসের সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে সতর্ক না হলেই বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। সেকারণে যারা এই সময় দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ে বেড়াতে গিয়েছেন তাদের এই সময় সতর্ক হওয়াটা দরকার। এই সময় পাহাড়ি রাস্তায় ধস নেমে রাস্তা অবরূদ্ধ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।

(Feed Source: hindustantimes.com)