Titanic | Titan Submarine: টাইটানিকে মৃত দম্পতির সঙ্গে আত্মীয়তায় বাঁধা টাইটান ডুবোজাহাজের নাবিক

Titanic | Titan Submarine: টাইটানিকে মৃত দম্পতির সঙ্গে আত্মীয়তায় বাঁধা টাইটান ডুবোজাহাজের নাবিক

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিখোঁজ সাবমেরিন, যা ডুবে যাওয়া জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখা নিয়ে গিয়েছিল পর্যটকদের, সেই সাবমেরিনের পাইলটের স্ত্রী ওয়েন্ডি রাশের সম্পর্কে এক বিশেষ ঘটনা সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে ওয়েন্ডি একজন মার্কিন দম্পতির বংশধর যারা ১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে এই বিশাল জাহাজডুবির ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। জেমস ক্যামেরনের হলিউড মুভি ‘টাইটানিক’-এও এই দম্পতি অমর হয়ে আছেন।

ওয়েন্ডি রাশ হলেন বিখ্যাত খুচর বিক্রেতা ইসিডর স্ট্রস এবং তার স্ত্রী ইডা-র প্রপৌত্রী। তাঁরা টাইটানিকের প্রথম শ্রেণীর যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করছিলেন। ১৯১২ সালের এপ্রিলে যখন একটি আইসবার্গ ধাক্কা লেগে টাইটানিক ডুবে যায়, তখন তাঁরা সেই জাহাজে ছিলেন। স্ট্রস ১৮৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন ম্যাসির ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের একজন সহ-মালিক।

১৯৮৬ সালে, ওয়েন্ডি রাশ ওশানগেটের সিইও স্টকটন রাশকে বিয়ে করেন। এই সংস্থা টাইটানিক ট্যুরিস্ট সাবমারসিবল পরিচালনা করে। এই সংস্থার সাবমেরিন রবিবার কিছু পর্যটককে নিয়ে সমুদ্রের নিচে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তিনি টাইটান সাবমেরিনটি সেই সময় চালাচ্ছিলেন।

স্টকটন রাশ সাবমেরিনে থাকা সেই পাঁচ জন যাত্রীর মধ্যে একজন যারা নিখোঁজ হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা এই মুহুর্তে সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। জাহাজটিকে খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান তীব্র করা হচ্ছে কারণ ওই সাবমেরিনে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা অক্সিজেন বাকি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। টাইটানিক ডুবে যাওয়ার ঘটনায় মৃত দম্পতির বংশধর ওয়েন্ডি রাশ, ওশানগেট কমিউনিকেশনের ডিরেক্টোর এবং তার লিঙ্কডইন প্রোফাইল থেকে জানা গিয়েছে যে কোম্পানির তিনটি টাইটানিক অভিযানে তিনি অংশ নিয়েছেন।

টাইটানিক দম্পতি সিনেমায় অমর হয়ে রয়েছেন

আর্কাইভাল রেকর্ড অনুসারে, ইসিডোর স্ট্রস লাইফবোটে নিজের আসন গ্রহণ করেননি কারণ আইসবার্গে আঘাত করার পরে ডুবতে থাকা টাইটানিকে তখনও বিপুল সংখ্যক মহিলা এবং শিশু আটকে ছিলেন। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী একসঙ্গে জাহাজটি ডুবে যাওয়া পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন।

জানা যায় যে ইডা স্ট্রস তার মিঙ্ক জ্যাকেট নিজের পরিচারিকার হাতে তুলে দেন যখন সেই পরিচারিকাকে লাইফবোটে উদ্ধার করা হচ্ছিল।

টাইটানিক ডুবে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে স্ট্রসের দেহাবশেষ সমুদ্রে পাওয়া গেলেও তার স্ত্রীর দেহ আর পাওয়া যায়নি।

এই দম্পতির কাল্পনিক সংস্করণ জেমস ক্যামেরনের ১৯৯৭ সালের হলিউড সিনেমা টাইটানিকে তৈরি হয়েছিল। স্ট্রস এবং তাঁর স্ত্রীকে একজন বয়স্ক দম্পতি হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছিল।

টাইটানের দুর্ভাগ্য

আটলান্টিক মহাসাগরে ১২,৫০০ ফুট গভীরতায় অবস্থিত টাইটানিক ধ্বংসস্তূপের দিকে যাত্রা শুরু করা সাবমেরিন টাইটান। রবিবার যাত্রা শুরুর প্রায় দুই ঘন্টা পরে এরসঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাবমেরিনটিতে মাত্র চার দিনের জরুরি অক্সিজেন সহায়তা ছিল।

অন্যদিকে, বুধবার (স্থানীয় সময়) উদ্ধারকারীরা টাইটান নিখোঁজ হওয়া অঞ্চলে আরও জাহাজ নিয়ে যায়। তাঁরা সেই সময় আশা করেছিল টানা দুদিন ধরে সমুদ্রের নীচে শুনতে পাওয়া শব্দ শনাক্ত করে তাঁরা খোঁজার অঞ্চলকে আরও ছোট করতে পারবে।

ফার্স্ট কোস্ট গার্ড ডিস্ট্রিক্টের ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডেরিক বলেন, ক্রু সদস্যরা প্রায় চার কিলোমিটার গভীর জলে ২৬,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।

(Feed Source: zeenews.com)