Form 16 ছাড়াই আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে পারেন, জানেন প্রক্রিয়াটি

Form 16 ছাড়াই আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে পারেন, জানেন প্রক্রিয়াটি

আমাদের দেশে বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য ফর্ম সিক্সটিন অন্যগত গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি।    আয়কর বিভাগের নিয়ম অনুসারে, প্রত্যেক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে টিডিএসের সাপেক্ষে কর্মচারীদের জন্য ফর্ম সিক্সটিন ইস্যু করতে হয়। কখনও বিশেষ ক্ষেত্রে ফর্ম সিক্সটিন ইস্যু নাও হতে পারে, সেক্ষেত্রেও উপায় রয়েছে। একজন ব্যক্তিকে ফর্ম সিক্সটিন প্রদান না করা হলে সে তারপরও আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে পারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। কর বিশেষজ্ঞরা এবিষয়ে জানান যে ফর্ম সিক্সটিন ছাড়াই ২০২৩-২৪ বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করা সম্ভব।।

ফর্ম সিক্সটিন বেতনভোগী কর্মচারীদের আয়কর প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে দেয়। প্রসঙ্গত, এসএজি ইনফোটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিত গুপ্ত বলেছেন, ফর্ম সিক্সটিন ছাড়াও ব্যক্তিরা তাদের আইটিআর ফাইল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অন্যান্য নথি যেমন পে-স্লিপ এবং ফর্ম ২৬ এএস ইত্যাদি নথি ব্যবহার করতে হবে।

ফর্ম সিক্সটিন ছাড়া আইটিআর ফাইল করতে উল্লেখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে।

এক) প্রথমত, বর্তমান আর্থিক বছরের সমস্ত পে স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে। এই স্লিপগুলিতে বেতন, ভাতা, ছাড় এবং অন্যান্য আয়ের উপাদানগুলির বিস্তৃত বিবরণ থাকা আবশ্যক।

দুই) দ্বিতীয়ত, পে স্লিপ থেকে তথ্য নিয়ে মূল বেতন, ভাতা, বোনাস ইত্যাদি সহ বেতনের সমস্ত উপাদান বিবেচনা করে করযোগ্য আয় গণনা করতে হবে। প্রাসঙ্গিক ছাড় যেমন বাড়িভাড়া, ভাতা, করযোগ্য আয় বাবদ ট্যাক্স এবং পেশাদার কর বিয়োগ করতে হবে।

তিন) ব্যক্তিদের তাদের বেতনের বাইরে আয়ের কোনো অতিরিক্ত উৎস যেমন সুদের আয়, লভ্যাংশ বা অন্য কোনো ধরনের আয় শনাক্ত করতে তাদের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট পর্যালোচনা করতে হবে। এই পরিমাণ অর্থ করযোগ্য আয়ের গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক।

চার) অবশেষে, ফর্ম ২৬ এএস যাচাই করতে হবে গুরুত্ব সহকারে, যা আয়কর বিভাগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে। ফর্ম ২৬ এএস, ব্যক্তির প্যানকার্ডের ভিত্তিতে কাটা এবং জমা করা সমস্ত করের একটি সামগ্রিক বিবৃতি প্রদান করতে হবে। ফর্ম ২৬ এএসে  উল্লিখিত টিডিএস বিবরণ যেন গণনাকৃত আয়ের বিবরণের সাথে মেলে, তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে ট্যাক্স কর্তনকারী, নিয়োগকর্তা বা ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করে অসঙ্গতিগুলি সংশোধন করতে হবে৷

একবার রিটার্ন দাখিল করা হলে, এর পরবর্তীতে ই-ভেরিফাই অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে মিলিয়ে নিতে কখনওই ভুলবেন না।  ই-যাচাই ছাড়া আইটিআর দাখিল করা অসম্পূর্ণ থাকবে, এবং আয়কর বিভাগ এটিতে প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিবেচনা করতে না৷ প্রসঙ্গত এই বছরের আইটিআর ফাইল দাখিল করার শেষ তারিখ হল ৩১ জুলাই।

(Feed Source: hindustantimes.com)