রামায়ণ তো না, ‘যৌনতার সুড়সুড়ি’! আদিপুরুষ নিয়ে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে

রামায়ণ তো না, ‘যৌনতার সুড়সুড়ি’! আদিপুরুষ নিয়ে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে

আদিপুরুষ নিয়ে চলছে নতুন নতুন বিতর্ক। নিত্য দিনই নতুন সমস্যায় জড়াতে হচ্ছে নির্মাতাদের। দেশজুড়ে চলা প্রতিবাদের সুস্পষ্ট ছাপ পড়েছে সিনেমার আয়েও। শুক্রবার দেশের বহু হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে দর্শক না হওয়ার কারণে শো ক্যানসেল হয়েছে। সঙ্গে একাধিক মামলাও হয়েছে ছবির নামে।

দিল্লি, এলাহাবাদের পর এবার কলকাতা হাইকোর্টের ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হল। রামায়ণের মতো মহাকাব্যের গল্পে যৌন সুরসুরি দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে আদালতে গিয়েছেন আইনজীবী তন্ময় বসু। বিচারপতি টিএস শিবাগনানাম ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তার এজলাসে দাখিল হয়েছে এই মামলা। তন্ময়বাবুর অভিযোগ, মাতৃসম নারী চরিত্রদের এখানে ছোট পোশাকে দেখানো হয়েছে। যা অশালীন।

ছবি মুক্তির পরই আপত্তি উঠেছিল ছবির সংলাপ নিয়ে। ‘তেরে বুয়া কি বাগিচা’, ‘জ্বলেগি ভি তেরে বাপকি’-র মতো সংলাপ শুনে তো দর্শকের চক্ষুস্থির। পরে যদিও সংলাপে কিছু বদল আনেন নির্মাতারা চতুর্দিকে চলতে থাকা প্রতিবাদের মুখে পড়ে। তবে তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না।

এদিকে নেপাল ইতিমধ্যেই সেদেশে আদিপুরুষ-এর স্ক্রিনিং নিষিদ্ধ করেছে। ছবিতে সীতাকে ভারত-কন্যা বলায় খচে লাল পড়শি দেশের সরকার। প্রথমে তো বলিউডের সব ছবিই সে দেশে আর চলতে দেওয়া হবে না, এমনটা জানিয়েছিলেন কাঠমাণ্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ। যদিও পরে ছবির প্রযোজনা সংস্থা টি সিরিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হলে, বলিউডের উপর থেকে ব্যান তুলে নেওয়া হয়। তবে বন্ধই রাখা হয়েছে আদিপুরুষ।

দিল্লি সেনা গত সপ্তাহে দিল্লি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ছবি ‘হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত’ দাবি তুলে। ছবির সম্প্রচারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি নিয়েই বিচারব্যবস্থার কাছে যান তাঁরা। এদিকে শুক্রবার সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চিঠি গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে। যেখানে বলা হয়েছে, যাতে অবিলম্বে মামলা নথিভুক্ত করা হয় ছবির পরিচালক-প্রযোজর-লেখকের নামে।

এদিকে আদিপুরুষ প্রথমদিকে চুটিয়ে ব্যবসা করলেও, পরের দিকে এসে ব্যবসা মার খেয়েছে। প্রভাস, কৃতি শ্যানন, সইফ আলি খান অভিনীত সিনেমাটি সমস্ত ভাষায় দেশ থেকে আয় করেছে ২৬৩.১৫ কোটি। বিশ্বব্যপী ৪০০ কোটির ঘর ছাড়িয়ে গিয়েছে আদিপুরুষ। ছবি তৈরির বাজেট ছিল ৫০০ কোটি।

শুক্রবার মুম্বইয়েক গেইটি গ্যালাক্সি সিনেমা হলের নির্বাহী পরিচালক মনোজ দেশাই আদিপুরুষ নির্মাতাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘এই সিনেমা বানানোর জন্য ওদের জেলে যাওয়া উচিত।’ জানান, সব হল মালিকরাই লোকসানের মুখে পড়ছেন এই ছবির কারণে।

(Feed Source: hindustantimes.com)