জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও ইশান্ত শর্মা (Ishant Sharma) অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু। সেই অনূর্ধ্ব-১৭ থেকে তাঁরা একসঙ্গে খেলছেন। নিজেদের রাজ্য দিল্লির পাশাপাশি ভারতীয় দলের হয়েও বহু বছর ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছেন। বিরাটকে এতগুলো বছর অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছেন ইশান্ত। সম্প্রতি ভারতীয় দলে ব্রাত্য এক সময়ের স্টার পেসার। ইশান্ত বিয়ার বাইসেপস পডকাস্টে এসে জানিয়েছেন যে, তাঁর চোখে বিরাট কেমন। কীভাবে জীবনের চড়াই-উতরাইতে বিরাট নিজেকে ধরে রেখেছিলেন। ইশান্ত বলছেন যে, ২০০৬ সালে বিরাট যেভাবে তাঁর বাবা প্রেম কোহলির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সেরেই রঞ্জি ট্রফিতে দাপটের সঙ্গে খেলেছিলেন, তা দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন।
ইশান্ত বলছেন, ‘আমি কখনও বিরাটকে কাঁদতে দেখিনি। কিন্তু আমি জানতাম যে, বাবাকে হারিয়ে ও শোকের সাগরে ডুবে গিয়েছিল। আমরা কর্ণাটকের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলছিলাম। ও গতরাতে অপরাজিত ছিল। আর বিরাট সবসময় আমাকে তুলে নিয়েই খেলতে যেত। আমরা প্যাটেল নগর থেকে ফিরোজ শাহ কোটলায় যেতাম। ওদিন ও আমার সঙ্গে আসেনি। সঙ্গে ছিল একজন ভিডিয়ো অ্যানালিস্ট। আমি বিরাটকে দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, তুমি কেন এত সিরিয়াস হয়ে গেলে! ও কোনও কথা বলেনি। আমি ওর মাথায় আলতো করে টোকা দিয়েছিলাম। তখন ওই ভিডিয়ো অ্যানালিস্ট আমাকে জানান যে, বিরাটের বাবা মারা গিয়েছেন। আমি বুঝতে পারিনি যে কী প্রতিক্রিয়া দেব! তখন আমাদের ১৭ বছর বয়স। বাবাকে হারানোর পরেরদিন ও ব্যাট করল। ৮০ রান করেছিল। ওর জায়গায় আমি থাকলে, জানি না কী করতাম! হয়তো মাঠেই নামতে পারতাম না।’
বিরাটেরকে দেখার প্রসঙ্গে ইশান্ত বলছেন, ‘আমি ওকে জীবনের সব দশায় দেখেছি। পার্টি থেকে ট্যাটু। ফিটনেস ফ্রিক থেকে টপ পারফর্মার। ওর বিরাট ট্রান্সফর্মেশন হয়েছে কেরিয়ারে। পার্টি করতে খুব ভালোবাসত। কলকাতায় টুর্নামেন্ট ছিল। সারা রাত পার্টি করেছিল। পরের দিন মাঠে নামে অপরাজিত ২৫০ রানের ইনিংস খেলেছিল। আমরা তখন দিল্লির হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলছিলাম।’ আজ বিরাট সচিন তেন্ডুলকরের পর ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ব্যাটিং সুপারস্টার। বিরাট নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন গগনচুম্বী উচ্চতায়। সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। জনপ্রিয়তার নিরিখে বিশ্বের প্রথমসারির অ্যাথলিটদের মধ্যে বাইশ গজের ‘কিং’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ২৫২ মিলিয়ন মানুষ ফলো করেন কোহলিকে। ইশান্ত কোথাও বুঝিয়ে দিলেন যে, বিরাটের ভিতরে আগুন ছিল বলেই তিনি আজ আগ্নেয়গিরি হতে পেরেছেন।
(Feed Source: zeenews.com)