১২ বছর আগে সুপ্রিম নির্দেশ, এবার সাঁতরাগাছিতে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড সরানোর ভাবনা

১২ বছর আগে সুপ্রিম নির্দেশ, এবার সাঁতরাগাছিতে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড সরানোর ভাবনা

ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডকে সরাতে বলেছিল কলকাতায় হাইকোর্ট। সেই সংক্রান্ত মামলায় এই বাসস্ট্যান্ডকে সাঁতরাগাছিতে সরানো হতে পারে বলে আদালতে জানাল রাজ্য। প্রাথমিকভাবে সেখানে বাসস্ট্যান্ড সরানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে বাঁচানোর জন্য ধর্মতলা থেকে বাস স্ট্যান্ড সরানোর দাবি তুলেছিলেন পরিবেশ কর্মীরা। সেই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। গত ৯ জুন সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে রাজ্য সরকারকে ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড সরাতে বলেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সাঁতরাগাছি ছাড়াও অন্য কোথাও এই বাসস্ট্যান্ড সরানো যায় কিনা, সে বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও, ধর্মতলায় মাল্টি মডেল পরিবহণ হাব তৈরির বিষয়টি আদালতে উল্লেখ করে রাজ্য। আদালতে রাজ্য জানায়, পরিবহণ হাব তৈরির জন্য আলোচনার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ সেখানে মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে। তবে মেট্রোর তরফে এখনও কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় যানবাহন বেশিক্ষণ দাঁড়ালে দূষণের ফলে ভিক্টোরিয়ার ক্ষতি হতে পারে –  এমনই দাবি করে ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড সরানোর দাবিতে এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। দূষণ রুখতে সেই সময় ২০০৭ সালে ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্টও সেই নির্দেশ বহাল রাখে। কিন্তু ১২ বছর হয়ে যাওয়ার পরেও সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে পুনরায় মামলা দায়ের করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।

মামলার শুনানিতে আদালতে অতিরিক্ত হলফনামা দাখিল করে ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানো নিয়ে যাতে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয় সে বিষয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানান সুভাষ দত্ত। তার ভিত্তিতে আদালত পরিবেশের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।

(Feed Source: hindustantimes.com)