অনাথ আশ্রমে থাকা, পেট চালাতে হোটেল ক্লিনার! এই আইএএস অফিসারের গল্প যেন সিনেমা

অনাথ আশ্রমে থাকা, পেট চালাতে হোটেল ক্লিনার! এই আইএএস অফিসারের গল্প যেন সিনেমা

কেরালা: সিভিল সার্ভিস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই, কিন্তু সত‍্যি করতে পারেন খুব কম জনই। ইউপিএসসি পরীক্ষায় সাফল‍্য পাওয়ার লক্ষ‍্যে দিনরাত এক করে লড়াই করছে দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতী। এমনই এক কঠিন লড়াই ছিল বি আবদুল নাসারের।

বর্তমানে তিনি একজন আইএএস অফিসার। তবে তাঁর লড়াই শুরু হয়েছিল পরীক্ষার প্রস্ততির সময় নয়। সেই ছোট্ট বয়সে, অনাথ আশ্রমে বড় হওয়ার সময় থেকে। অন‍্যদের চেয়ে এখানেই খানিকটা আলাদা আবদুল নাসারের কাহিনি।

মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বাবাকে হারান আবদুল নাসার। তখন থেকেই জীবনের কঠিন পথ চলার শুরু। সংসারের খরচে হিমশিম অবস্থা মায়ের। আবদুল ও তাঁর ভাইবোনেরা বড় হতে থাকলেন অনাথ আশ্রমে। মা যথাসাধ‍্য চেষ্টা করতেন পাশে থাকার।

নাসারের ১৩ বছরের শিক্ষাজীবন কাটে এই অনাথ আশ্রমে। আজ দেশের উচ্চপদস্থ এই অফিসার রোজগার করতে শুরু করেন ১০ বছর বয়স থেকেই। তখন একটি হোটেলে ক্লিনার বা হোটেল পরিষ্কার করার কাজ করতেন। হোটেলে সাপ্লায়ার বা সরবরাহকের কাজও করেছেন আবদুল।

মাঝে মাঝেই আশ্রম থেকে ছুটি নিয়ে নিতেন আবদুল। তবে লেখাপড়া কখনও ছাড়েননি তিনি। শত বাধা পেরিয়েও চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। স্কুল জীবন শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন‍্য আবদুল থালাসেরি গভর্নমেন্ট কলেজে ভর্তি হন। একই সঙ্গে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে করতে হয়েছে রোজগার। কখনও খবরের কাগজ বিক্রি করেছেন, কখনও ছাত্র পড়িয়েছেন, এমনকি এক সময় ফোন অপারেটরের কাজও করেছেন তিনি।

১৯৯৪ সালে তিনি কেরালা হেল্থ ডিপার্টমেন্টে চাকরি পান। ততদিনে স্নাতকত্তোরের পাঠ শেষ করেছেন। ২০০৬ সালে রাজ‍্যের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে তিনি ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৭ সালে তিনি রাজ‍্যের আইএএস অফিসারের মর্যাদা লাভ করেন।

(Feed Source: news18.com)