টাইটানে বসে বিশ্বরেকর্ড গড়ার স্বপ্ন! বুক ভরা আশা নিয়েই তলিয়ে গেলেন ১৯-এর যুবক

টাইটানে বসে বিশ্বরেকর্ড গড়ার স্বপ্ন! বুক ভরা আশা নিয়েই তলিয়ে গেলেন ১৯-এর যুবক

সমুদ্র তাঁকে বিশেষ টানেনি। ১১১ বছর আগে অতলান্তিকের অতলে হারিয়ে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষও চাক্ষুষ করতে চাননি ১৯-এর সুলেমান দাউদ। পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদের পুত্র। তবু বাবার ইচ্ছাপূরণ করতেই তাঁর সঙ্গে চেপে বসেছিলেন টাইটানে। যে টাইটানিককে দেখার জন্য এত আয়োজন, সেই প্রমোদতরীর মতোই পরিণতি হল তাঁদের ডুবোযানের। টাইটানিকের থেকে মাত্র ১৬০০ ফুট (৫০০ মিটার) দূরে সলিলসমাধি পেল টাইটান। ফিরে এলেন না সুলেমান এবং শাহজাদাও।

টাইটানে বসেই বিশ্বরেকর্ড গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সুলেমান। জলের তলায় বসে রুবিকস কিউব মিলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ছেলের জীবনের সেই মুহূর্ত লেন্সবন্দি করার জন্য ক্যামেরাও নিয়ে গিয়েছিলেন শাহজাদা।

শাহজাদার স্ত্রী, সুলেমানের মা ক্রিস্টিন দাউদ বলেন, “ও (সুলেমান) বলেছিল, সমুদ্র থেকে ৩৭ হাজার কিলোমিটার গভীরে টাইটানে বসে ও রুবিক কিউব মেলাবে।”

রুবিকস কিউব নিয়ে সুলেমানের আগ্রহের শেষ ছিল না। জলের নীচে রুবিক কিউব মেলানোর জন্য গিনিস ওয়ার্লড রেকর্ডসেও আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ হল না। বুক ভরা স্বপ্ন নিয়েই তলিয়ে গেলেন সুলেমান।

স্বামী এবং ছেলের ফিরে আসার অপেক্ষা করেছিলেন ক্রিস্টিন। টাইটানের উধাও হয়ে যাওয়ার খবর শুনেও আশা হারাননি। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয় ৯৬ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর আমি আশা হারিয়ে ফেলি। খুব মনে পড়ছে ওদের কথা।”

এক বিনিয়োগকারী জে ব্লুম এবং তাঁর পুত্রের জন্য সংরক্ষিত টিকিট পান শাহজাদা এবং সুলেমান। টাইটানিকের ভগ্নাবশেষ দেখতে গিয়ে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা।

(Feed Source: news18.com)